মাগুড়ছড়া দিবস আজ
তিমির বনিক
মৌলভীবাজার: ২৪ বছর আগে এইদনে কমলগঞ্জে মাগুরছড়া গ্যাসকূপ বিস্ফোরণে খনিজ তেল-সম্পদ ব্যাপক ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছিল। একইভাবে মাগুরছড়া কূপসংলগ্ন লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য এবং প্রাণবৈচিত্র্যের অনেক ক্ষতিসাধন হয় ওই ঘটনায়। জাতীয় উদ্যান থেকে অনেক পাখি, অনেক গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ হারিয়ে গেছে, হারিয়ে গেছে সেই চিরচেনা রুপ। পাখি ও উদ্ভিদের সংখ্যা কমে গেছে। বনাঞ্চল ও পরিবেশের ক্ষতিপূরণ আদায়ের নেই কোনো উদ্যোগ।
প্রাণ-প্রকৃতি,জীববৈচিত্র্য গবেষকগন জানান, মাগুরছড়া গ্যাসকূপ দুর্ঘটনা বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় রকমের পরিবেশ গণহত্যা। এই অগ্নিকাণ্ডের ফলে লাউয়াছড়াতে বেশ কিছু জিনিস দেখা যাচ্ছে না। এর মধ্যে আছে লতাগুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। পাখি, সরীসৃপ শ্রেণির প্রাণী। এদের অনেকটাই দেখা যায় না,বিলুপ্ত প্রায়। একদম কম দেখা যাচ্ছে কোন কোনটাকে।
অগ্নিকাণ্ডে শুধু গাছাপালারই ক্ষতি করেনি। আদিবাসী জনগোষ্ঠী খাসিয়া ও ত্রিপুরা ভাষার ওপরও এর প্রভাব ফেলেছে। খাসি ও ত্রিপুরা ভাষার অনেক গাছলতা বিলুপ্ত হওয়ায় নতুন প্রজন্ম সেগুলো সম্পর্কে জানে না। তাদের ভাষা থেকেও এসব গাছের নাম হারিয়ে যাচ্ছে। বড় ক্ষত প্রাণ-প্রকৃতিতে, ক্ষতিপূরণ মেলেনি আজও। সেসময় আগুনের তাপে বেঁকে গিয়েছিল মাগুরছড়া গ্যাসকূপ-সংলগ্ন থাকা ঢাকা-সিলেট রেলপথ। আগুনের তাপে এলাকা ছেড়ে ছিলো এলাকার বাসিন্দারা।