বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: সিলেটের জকিগঞ্জে দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স)।
সোমবার (৯ আগস্ট) জ্বালানি নিরাপত্তা দিবসের ওয়েবিনারে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গণমাধ্যমকে এতথ্য জানিয়ে বলেন, বাপেক্সের অনুসন্ধানে পাওয়া গ্যাসক্ষেত্রে উত্তোলনযোগ গ্যাস মজুদ আছে ৫০ বিলিয়ন ঘনফুট। সেখান থেকে গ্রিডে দৈনিক ১০ মিলিয়ন যুক্ত হবে। আগামী দুই বছরের মধ্যে এই গ্যাস ক্ষেত্র থেকে গ্যাস জাতীয় লাইনে সরবরাহ করা হবে। আর ১০ থেকে ১২ বছর গ্যাস উত্তোলন সম্ভব হবে। যার দাম ১২৭৬ কোটি টাকা।
জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী সিদ্ধান্তের ফলে পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র এখনও দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির মূল ভিত্তি। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশে প্রায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন করেছে সরকার। এখন লক্ষ্য, দেশে নিরবচ্ছিন্ন এবং সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি নিশ্চিত করা।
তিনি আরও জানান, রংপুরসহ বড়ো শহরগুলোতে গ্যাস পৌঁছানের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
এর আগে গ্যাসক্ষেত্রে সন্ধান পাওয়ার পর ১৫ জুন সকাল সোয়া ১০টার দিকে অনুসন্ধান কূপে সফলতার সঙ্গে ড্রিল স্টিস টেস্ট (ডিএসটি) বা শিখা জ্বালাতে সক্ষম হয় বাপেক্স।
অনুসন্ধানে কূপটির ভেতর ৬ হাজার পিএসআই (প্রতি বর্গইঞ্চি) চাপ পাওয়া গেছে। আর ফ্লোটিং চাপ রয়েছে ১৩ হাজারের বেশি পিএসআই। এখন প্রথম স্তরের পরীক্ষা চলছে। ক্ষেত্রটির চারটি স্তরে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছিল বাপেক্স।
এর আগে জুনে জকিগঞ্জে আরেকটি গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পায় বাপেক্স।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ২৮টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে প্রমাণিত মজুতের পরিমাণ ২১ দশমিক ৪ টিসিএফ। আরও ৬ টিসিএফ সম্ভাব্য মজুত রয়েছে।
এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ১৮ টিসিএফ উত্তোলন করা হয়েছে। সে হিসাবে প্রমাণিত মজুত রয়েছে মাত্র ৩ টিসিএফ। সম্ভাব্য মজুত রয়েছে আরও ৭ টিএসএফর মতো।
১১৩টি কূপ দিয়ে প্রতি বছরে উত্তোলিত হচ্ছে প্রায় ১ টিসিএফর মতো। এর মধ্যে দেশীয় কোম্পানির ৭০টি কূপের (দৈনিক) ১ হাজার ১৪৫ এমএমসিএফডি, আইওসির ৪৫টি কূপের উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে ১ হাজার ৬১৫ এমএমসিএফ (মিলিয়ন ঘনফুট)। দৈনিক কমবেশি ২ হাজার ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলিত হচ্ছে।