Home অন্যান্য ২ মিলিয়ন পাউন্ডে একফালি চাঁদ

২ মিলিয়ন পাউন্ডে একফালি চাঁদ

পৃথিবীর বুকে খসে পড়েছিল একফালি চাঁদ। সাহারার মরুভূমি থেকে তাকে তুলে আনা হয়েছিল। সেই চাঁদের টুকরোই এবার বিক্রি করতে চলেছে ব্রিটিশ অকশন হাউজ ক্রিস্টিজ।

মুন রকবা চাঁদের পাথর পৃথিবীতে এসেছে নানাভাবে। কখনও মহাকাশ অভিযানে চাঁদের মাটি থেকে নুড়িপাথর কুড়িয়ে এনেছেন মহাকাশবিজ্ঞানীরা, আবার কখনও চাঁদ থেকেই পৃথিবীর বুকে খসে পড়েছে তার অংশ। কোনও ভীষণ গতির উল্কা বা গ্রহাণুর সঙ্গে ধাক্কায় চাঁদের পাথর খসে আছড়ে পড়েছে পৃথিবীর মাটিতে। পাথরের জার্নিও অনেকটা সেরকমই।

নাম এনডব্লিউএ ১২৬৯১। ওজনে সাড়ে তেরো কিলোগ্রাম। পৃথিবীতে এখনও অবধি যতমুন রকজমা হয়েছে তার মধ্যে এটি পঞ্চম বৃহত্তম বলে দাবি করেছেন ক্রিস্টিজের সায়েন্স অ্যান্ড ন্যাচারাল হিস্ট্রি বিভাগের প্রধান জেমস হাইস্লপ। তিনি বলেছেন, “চাঁদেরই পাথর। যাচাই করে নেওয়া হয়েছে। আকারে একটা ফুটবলের থেকেও বড়। মিলিয়ন পাউন্ডে এই চাঁদের পাথর বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেমস

১৯৬০ থেকে ১৯৭০ সালের মধ্যে মার্কিন অ্যাপোলো মিশনে ৪০০ কিলোগ্রাম চাঁদের পাথর নিয়ে ফিরেছিলেন নভশ্চররা। ১৯৬৯৭২ এর মধ্যে নাসার আরও পাঁচটি (অ্যাপোলো ১২, অ্যাপোলো ১৪, অ্যাপোলো ১৫, অ্যাপোলো ১৬ এবং অ্যাপোলো ১৭) চন্দ্রাভিযানে চাঁদের মাটি থেকে এমন ধনসম্পদ কুড়িয়ে এনেছিলেন নভশ্চররা। এইসব মুন রকের আইসোটোপ বিশ্লেষণ করে মহাকাশবিজ্ঞানীরা বলেছিলেন, গ্রহাণু বা শক্তিশালী উল্কাপিণ্ডের সঙ্গে ধাক্কায় এমন পাথর খসে চাঁদের মাটিতে আটতে থাকে। পরে ফের কোনও ভীষণ গতির উল্কার সঙ্গে টক্কর হলে সেটাই মহাশূন্যে আছড়ে পড়ে। অন্যান্য মহাজাগতিক বস্তুর মতো এই পাথর অভিকর্ষজ বলের টানে পৃথিবীর মাটিতে এসে পড়ে।

সাহারা থেকে এর আগেও মহাজাগতিক বস্তু উদ্ধার হয়েছে। এই চাঁদের পাথরের খোঁজ প্রথম কে পেয়েছিলেন সেটা জানা যায়নি। নানা হাত ঘুরে এই পাথর ন্যাশনাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামে ঠাঁই পায়। জেমস জানিয়েছেন, অনেকেই বলছেন চাঁদের খসে পড়া অংশই উল্কার মতো চলে এসেছে পৃথিবীতে। এই মুন রকের আন্তর্জাতিক চাহিদা তাই তুঙ্গে