স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু এলাহাবাদে ১৪ নভেম্বর ১৮৮৯ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। স্নেহশীলতা এবং সৌজন্যতার কারণে ছোটোদের মধ্যে খুব জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। যে কারণে তাঁর জন্মদিনটিকেই দেশের ‘শিশু দিবস’ হিসাবে উদ্যাপন করা হয়।
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দিয়ে পণ্ডিত নেহরু ন’বার কারাবরণ করেছিলেন। ব্রিটিশরা তাঁকে মোট ৩,২৫৯ দিন কারাগারে বন্দি করেছিল। অর্থাৎ নিজের জীবনের প্রায় ন’বছর কারাগারের ভিতরেই কাটাতে হয়েছিল তাঁকে। নেহেরু কারাগারে থাকাকালীন একটি আত্মজীবনী লিখেছিলেন- ‘টুয়ার্ড ফ্রিডম’।
ভারতীয় সংবিধানের ৪৪ অনুচ্ছেদটি নেহরু লিখেছিলেন। যেখানে ভারতকে ‘ধর্মনিরপেক্ষ জাতি’ হিসাবে মর্যাদা দিয়েছিল। তিনি ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞাগুলি নির্মূল করতে এবং ভারতকে সংযুক্ত জাতি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন।
জওহরলাল নেহরু তাঁর কোটে প্রতিদিনই একটি গোলাপ লাগাতেন। পরবর্তী সময়ে সেই গোলাপের চলতি নামই হয়ে যায় নেহরু গোলাপ। তাঁর দল কংগ্রেস জানিয়েছে, প্রয়াত স্ত্রীর স্মৃতির উদ্দেশেই প্রতিদিন কোটে গোলাপ লাগানো ছিল তাঁর নিয়মিত একটি কাজ। ১৯৩৮ সালে জওহরলালের স্ত্রী কমলা নেহরুর মৃত্যু হয়। তার পর থেকেই প্রতিদিন গোলাপ ব্যবহার অভ্যাসে পরিণত হয় তাঁর।
১৯৬৪ সালের ২৭ মে হৃদজনিত রোগের কারণে যখন তিনি মারা যান, তখন প্রায় ১৫ লক্ষ ভারতবাসী তাঁদের প্রথম প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানাতে জড়ো হয়েছিল। তাঁর কন্যা ইন্দিরা গান্ধীই ভারতের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী।