নাজমুল হোসেন
চট্টগ্রাম: সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৯নং দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের ভোটার সংখ্যা সব চেয়ে বেশি। ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৬০% ভোটার বহিরাগত। তাদের ওপর ভোটের ফলাফল নির্ভরশীল।
১২.৫৯ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের ওয়ার্ডটিতে সাড়ে ৫ লাখ মানুষের বসবাস। আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যাও বেশি। মোট ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ৩৮ হাজার। গণপরিবহনের নৈরাজ্য, জলাবদ্ধতা, ফুটপাত দখল ও সুপেয় পানির সংকট ওয়ার্ডের প্রধান সমস্যা। ওয়ার্ডটিতে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জিয়াউল হক সুমন ও সাবেক কাউন্সিলর বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী সরফরাজ কাদের রাসেল নির্বাচন করছেন।
এখানে মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী সরফরাজ কাদের রাসেল বলেন, জলাবদ্ধতা এলাকার বড় সমস্যা। তাছাড়া মাদক, জুয়ার কিছু বিষয় আছে যা আমি নির্বাচিত হলে সমাধানের চেষ্টা করবো।
বিগত পাঁচ বছরে নিজের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিষয়ে দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন বলেন, ৫ বছরে ৮৪ কোটি টাকার কাজ পেয়েছি যার ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বাকি কিছু কাজ চলমান। ইপিজেড থেকে স্থায়ী হকার উচ্ছেদ করেছি। সিমেন্ট ক্রসিং রুবি সিমেন্ট নালা ভরাট হয়ে যাওয়ায় রুবি সিমেন্ট কারখানার ভেতরের খালটিতে এলাকার পানি নামার পথ বন্ধ হয়ে যায়। এজন্য বিমানবন্দর ও পতেঙ্গামূখী সড়কে যানজট সৃষ্টি হতো। ইতোমধ্যে নালার ওপর গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পাশাপাশি পানি চলাচল নিশ্চিত করা হয়েছে।
সুমন বলেন, ছোট বড় ৬২ টি রাস্তার ড্রেনেজ কাজে হাত দিয়েছি যার অধিকাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ৬৫টি রাস্তার কাজ করেছি। ৬ ফুটের রাস্তা ৩০ ফুট করেছি। জলাবদ্ধতা সমাধানের জন্য আকমলালী রোডের শেষ দিকে লিংক রোডের সাথে সুরেজ গেট নির্মাণ করা হয়। এলাকায় কোনো জুয়ার ঘর নেই। মাদক ব্যাবসায়ীদের দূরত্ব কমেছে। সিসিটিভির মাধ্যমে ছিনতাই বন্ধ করেছি। ৬০% অলিগলিতে ওসার পানির ব্যবস্থা করেছি। শ্রমিক দের জন্য সূলভ মুল্যে দুপুরে খাবারের ব্যবস্থা করেছি। অস্থায়ী বাসিন্দাদের জন্য এম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করেছি তাছাড়া যারা গ্রামে যেতে পারবে না তাদের জন্য এখানেই কবরের জায়গায় করে দিয়েছি।
ভবিষ্যতে নির্বাচিত হলে কি কি পদক্ষেপ নিবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, অসমাপ্ত যে ১৫ থেকে ২০ ভাগ কাজ আছে তা সম্পুর্ণ করবো। জায়গায় সংকটের কারণে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় করতে পারি নাই ভবিষ্যতে তা করার উদ্যোগ গ্রহণ করবো। যে সব অলিগলিতে এখনও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে পারি নাই তা নিশ্চিত করবো। সিমেন্ট ক্রসিং থেকে ইপিজেড পর্যন্ত বিকল্প সড়কের কাজ সম্পন্ন করতে পারি নাই তা করা হবে। এলাকার একমাত্র সিটি করপোরেশনের মাতৃসদন হাসপাতালকে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে উন্নীত করবো।