জামালপুর: চিকিৎসকদের ওপর হামলা ও মারধরের প্রতিবাদে এবং সদর থানার ওসিকে প্রত্যাহারসহ চার দফা দাবিতে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালসহ জেলার সকল হাসপাতালে তৃতীয় দিনের মতো বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা বন্ধ রেখেছেন চিকিৎসকেরা। বন্ধ রয়েছে বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক ও ব্যক্তিগত চেম্বারও। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের।
শুক্রবার দুপুরে শহরের ইকবালপুর এলাকার এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চিকিৎসকদের ওপর হামলা ও মারধর করে রোগীর স্বজনরা।
পরে জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে রোগীর স্বজনদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় পুলিশ ব্যাপক লাঠিপেটা করলে কয়েকজন চিকিৎসক আহত হয়। পরে পুলিশ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. লুৎফর রহমানসহ কয়েকজন ইন্টার্ন চিকিৎসকে আটক করে থানায় নিয়ে কিছু সময় পর তাদেরকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এ ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য জামালপুরের সকল হাসপাতালে বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দেয় চিকিৎসকেরা।
এদিকে চিকিৎসকদের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত রোগীর দুই স্বজনের মুক্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন রোগীর স্বজন ও স্থানীয়রা।
২৫০ শয্যার জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মুহা. মাহফুজুর রহমান সোহান জানান, সদর থানার ওসির প্রত্যাহার, চিকিৎসকদের মারধরকারী রোগীর স্বজনদের শাস্তি, হাসপাতালে স্থায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং চিকিৎসা সুরক্ষা আইন প্রণয়নের চার দফা দাবিতে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিব) এর কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তে জরুরি বিভাগ, আন্তঃবিভাগে চিকিৎসা কার্যক্রম চালু থাকলেও বহির্বিভাগ চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।
এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে এখনো তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়নি। তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার পর পরবর্তী কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে তিনি জানান।
-বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক