Home Second Lead ৬ লাখ ৩,৬৮১ কোটি টাকার বাজেট আসছে

৬ লাখ ৩,৬৮১ কোটি টাকার বাজেট আসছে

আসন্ন ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের আকার হবে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকায়। যা চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে ৬.২৮ শতাংশ বড়। টাকার অঙ্কে এ বাজেট চলতি অর্থবছরে চেয়ে ৩৫ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা বেশি।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার (৩ জুন) জাতীয় সংসদে নতুন বাজেট উপস্থাপন করবেন। এটি স্বাধীন বাংলাদেশের ৫১তম বাজেট। বর্তমান সরকারের টানা ১৩তম। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের তৃতীয় বাজেট।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নতুন অর্থবছরের বাজেটে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় স্বাস্থ্য, কৃষি, সামাজিক সুরক্ষা, কর্মসংস্থান, খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা খাতকে বিশেষ অগ্রধিকার দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি আগামী বাজেটে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। করোনাভাইরাসের কারণে বেকার হওয়া লাখ লাখ মানুষের খাদ্য নিরাপত্তার নিশ্চিত করা নিয়ে থাকবে বিশেষ দিক নির্দেশনা। করোন পরবর্তী সৃষ্ট অর্থনৈতিক ও সামাজিক ঝুঁকি মোকাবিলায় স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন পরিকল্পনাও রাখা হবে বাজেটে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র মতে, আগামী অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। এই অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৩ শতাংশের মধ্যে সীমিত রাখার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ধরা হয়েছিল ৮ দশমিক ২ শতাংশ। সংশোধিত বাজেটে এটি কমিয়ে ৬ দশমিক ১ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী অর্থবছরে টাকার অঙ্কে জিডিপি’র মোট আকার প্রাক্কলন করা হয়েছে ৩৪ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। এতে বাজেটের আকার দাঁড়াচ্ছে জিডিপি’র ১৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

সূত্র জানায়, আগামী বাজেটে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সংগ্রহ হবে ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৭৮ কোটি টাকা। সে হিসাবে বাজেটের সার্বিক ঘাটতি দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ১৪ হাজার ৬০৩ কোটি টাকা। এটি জিডিপি’র ৬ দশমিক ২১ শতাংশ। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের মূল বাজেটে সার্বিক ঘাটতি ধরা হয়েছিল ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা (জিডিপি’র ৬ শতাংশ)। সে হিসাবে আগামী বাজেটে ঘাটতি বাড়ছে ২৪ হাজার ৬০৩ কোটি টাকা।

আগামী বাজেটে ঘাটতি পূরণে বাজেটে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার ৩ কোটি টাকা নেওয়া হতে পারে। এর মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ৯৩ হাজার কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র খাত থেকে ৩২ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য উৎস থেকে ৫ হাজার ৩ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হতে পারে। বাজেট ঘাটতির অবশিষ্ট ৮৪ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হবে বৈদেশিক উৎস থেকে।