বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান আজ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন যে মঙ্গলবার পর্যন্ত পোশাক কারখানা শ্রমিকদের ৯৭ শতাংশ বেতন ও ৯৯ শতাংশ বোনাস পরিশোধ করা হয়েছে এবং বুধবারের মধ্যে শতভাগ কারখানায় বেতন-বোনাস পরিশোধ হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএর সিনিয়র সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এস এম মান্নান কচি, সহসভাপতি শহীদুল্লাহ, আজিম, পরিচালক ভিদিয়া অমৃত খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি জানান, ৬৮টি কারখানায় নিবিড় তদারকির মাধ্যমে পাওনা পরিশোধ নিশ্চিত করা হয়েছে। অবশ্য বর্তমানে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ-এর দুটি সংগঠনের সদস্য বহির্ভূত মিলিয়ে রপ্তানিমুখী সচল পোশাক কারখানা প্রায় চার হাজার।
বিজিএমইএ যে তথ্য দিয়েছে সেটি কেবল সংগঠনটির সদস্যভুক্ত ১ হাজার ৯১৩টি কারখানার।
অবশ্য বেতন বোনাস পরিশোধ সংক্রান্ত বিজিএমইএর তথ্যের সঙ্গে একমত নন পোশাক শ্রমিকরা। সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি নাজমা আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, বিজিএমইএর এ বক্তব্য সঠিক নয়। চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার অনেক কারখানা পাওনা পরিশোধ না করে কারখানা বন্ধ করেছে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, করোনা সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য সরকারের নির্দেশনা মেনে আমরা তিনদিনের ছুটি দিয়েছিলাম। কিন্তু কিছু কারখানায় অসন্তোষ হয়েছে। এ সময় শ্রম আইনে ছুটি সংক্রান্ত বিধান উল্লেখ করে তিনি বলেন, ছুটি কম দেওয়া হয়নি, বরং সমন্বয় করা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে আলোচনার মাধ্যমে বেশি ছুটি দেওয়া হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে ছুটি সংক্রান্ত বিরোধ এড়িয়ে চলতে তিনি অনুরোধ জানান।