বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কোন ভোটই হয়নি বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও দলীয় মেয়র প্রার্থীর প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ভোটের নামে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রে কেন্দ্রে সন্ত্রাসীদের মিলনমেলা করেছে এবং অন্তত ৫ শতাধিক ভোট কেন্দ্র দখল করে ধানের শীষের এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। এ নির্বাচনে ভোট ডাকাতির সঙ্গে চরম নির্যাতন-নিপীড়ন যুক্ত হয়েছে।
বুধবার বিকেল সাড়ে চারটায় চসিক নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, নাগরিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক একরামুল করিম চৌধুরী, নগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাসেম বক্কর, দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় সদস্য মীর হেলাল উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নগরীর নুর আহমদ সড়কের নাসিমন ভবন প্রাঙ্গণে এ সংবাদ সম্মেলনে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পুলিশ নির্বাচনী প্রজেক্টের আওতায় যে নির্দেশনা পেয়েছে সেটা তারা অক্ষরে অক্ষরে তা পালন করেছে। চট্টগ্রাম মহানগরীর মানুষকে তারা আবারও ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন হচ্ছে কতগুলো তাঁবেদার। সেখানে তাদের বসিয়ে দেয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের ভোট চুরি ডাকাতি সম্পন্ন করার জন্য। আমি তাদের বিষয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না।
তিনি বলেন, ১৮ কোটি মানুষ এখন বিশ্বাস করে এ সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। এখন ভোট ডাকাতি নয়, মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, এটা আরেকটা পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। এ সরকারের অধীন কোন নির্বাচন করার প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে হয় না।
নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করছেন কীনা- এমন প্রশ্নের জবাবে আমির খসরু বলেন, যেখানে ভোটই হয়নি সেটা প্রত্যাখ্যান করা না করার কিছু নেই।
ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আওয়ামী লীগের সাথে তাদের নির্বাচন হয়নি- নির্বাচন হয়েছে পুরো প্রশাসন ও রাষ্ট্রযন্ত্রের সঙ্গে। আমরা মনে করেছিলাম উৎসবমুখর পরিবেশে একটি নির্বাচন করব। আমরা মানুষের সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্য নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু নির্বাচনটা আমাদের সাথে আওয়ামী লীগের হয়নি।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনকে আমরা তিনটি দাবি জানিয়েছিলাম। ইভিএম মেশিনকে সুরক্ষা, এনআইডি ছাড়া কেন্দ্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ও বহিরাগতদের ঠেকানো। কিন্তু নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থাই নেয়নি। দিনভর বিভিন্ন সেন্টার ঘুরে দেখেছি আমার ভোটার, এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে মারধর করে বের করে দিয়েছে। নারী এজেন্টদের শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। পুরো নির্বাচনই এক ধরনের নির্যাতনে পরিণত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের ভোট ডাকাতির ইতিহাস আবারও উন্মোচিত হয়েছে।