Home বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাকের শুল্ক কমানোর আহ্বান

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাকের শুল্ক কমানোর আহ্বান

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

বাংলাদেশে তৈরি পোশাকের শুল্ক কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাস, মার্কিন সরকার এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের উদ্যোগে আয়োজিত ‘রানা প্লাজা পরবর্তী সাত বছর : কে কি করছে?’ শিরোনামে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এই আহ্বান জানান। শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানায়।

যুক্তরাষ্ট্রে সফররত বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসানের উপস্থিতিতে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে তৈরি পোশাকশিল্পের কারখানায় নিরাপত্তা এবং শ্রমিকদের কল্যাণের লক্ষ্যে চলমান প্রচেষ্টার পাশাপাশি কীভাবে আরও মার্কিন আমদানিকারকদের বাংলাদেশি তৈরি পোশাক আমদানিতে উৎসাহিত করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ক্রিস্টোফার উইলসন, টেক্সটাইলবিষয়ক সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি উইলিয়াম জ্যাকসন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার পরিচালক জেনিফার লারসন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ডেমোক্রেসি, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড লেবারের পরিচালক মরিন হ্যাগার্ডসহ যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়া ম্যাকলার্টি অ্যাসোসিয়েটসের প্রতিনিধি টেরেসিতা শ্যাফার, বিজিএমইএ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মিরান আলী, ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রতিনিধি, আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশন (এএএফএ), ওয়ালমার্ট ও টার্গেটের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি বাংলাদেশ দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এতে অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম। এ সময় তিনি বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং এর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তৈরি পোশাকশিল্পের অপরিসীম অবদানের কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার শ্রমিকদের কল্যাণ ও শিল্পকে রক্ষা করার জন্য বিশেষত রানা প্লাজার ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ ও উদ্যোগ গ্রহণ করছে।’

পরে বাংলাদেশ সরকার এবং বিজিএমইএ’র গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। করোনা মহামারীর কারণে বাংলাদেশের পোশাকশিল্পে উদ্ভূত নতুন চ্যালেঞ্জ এবং বিজিএমইএ কীভাবে এই কঠিন সময়ে শ্রমিকদেরকে সহযোগিতা করেছে, সেসব উল্লেখ করেন তিনি।

এ ছাড়া ইন্সেনটিভ প্যাকেজের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের উদার অবদানের কথা স্বীকার করেন তিনি। একটি সাবলীল ও টেকসই সাপ্লাই চেইন এবং সোর্সিংয়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে সভাপতি ফারুক হাসান তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের খরচ কমানোর জন্য কারখানার একাধিক নিরীক্ষা কমানোর জন্য মার্কিন ক্রেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বাংলাদেশে শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি এবং তৈরিপোশাকের ক্রমবর্ধমান উৎপাদন খরচ বিবেচনায় বিজিএমইএ সভাপতি বাংলাদশে তৈরি পোশাকের উচ্চ ও ন্যায্য মূল্য প্রদানের জন্য মার্কিন ক্রেতাদের অনুরোধ জানান। এ ছাড়া বাংলাদেশে তৈরি পোশাকের জন্য শুল্ক কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করতে মার্কিন সরকারের প্রতিও আহ্বান জানান তিনি।