Home First Lead খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীদের তালিকা চেয়েছে ভোক্তা অধিদপ্তর

খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীদের তালিকা চেয়েছে ভোক্তা অধিদপ্তর

ডিলারদের  এসও ৩ মাসের বেশি হলে তা বাতিল করতে হবে

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

ঢাকা: জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ভোজ্যতেলের দামে কারসাজির অভিযোগ যাচাইয়ের জন্য  মৌলভীবাজার ও খাতুনগঞ্জের পাইকারি ব্যবসায়ীদের তালিকা চেয়েছে।

অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার জানিয়েছেন, ‘ভোজ্য তেলের মূল্য কারসাজিতে শুধু মিল মালিকরাই নন, মৌলভীবাজার ও খাতুনগঞ্জের পাইকারি ব্যবসায়ীরাও জড়িত থাকতে পারেন। তাই এ দুই বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীদের তালিকাও চাওয়া হয়েছে। আমরা দেখেছি মৌলভীবাজারে হঠাৎ করে একটা মূল্য নিয়ে কারসাজি করা হয়, আবার তারা মিলের দোহাই দিয়ে বলেন, মিল থেকে দিচ্ছে না। তাই এবার আমরা দুইপক্ষের সঙ্গে বৈঠকের ব্যবস্থা করব।’

শীর্ষ আমদানিকারক ও সরবরাহকারী চার কোম্পানি টি কে গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল ও বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিনিধির সাথে বুধবার বৈঠক হয়। ‘বৈঠকে কোম্পানিগুলো যেসব তথ্য দিয়েছে তা আমাদেরকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। এ জন্যই আমরা তাদেরকে অধিকতর শুনানির জন্য ডেকেছি। গত রোজার তিন মাস আগে প্রত্যেকটা মিল কতটা উৎপাদনে ছিল, এবারের রোজার তিন মাস আগে কতটুকু ছিল, এসব তথ্য আগামী বুধবারের বৈঠকে দিতে বলা হয়েছে। আমরা চাই তারা এসবের স্বচ্ছ তথ্য আমাদের দেবে।’

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার কথা বলে স্থানীয় বাজারে ভোজ্য তেলের দাম সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে লিটারে অন্তত ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি নেওয়া হয়। কোথাও কোথাও তেল পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগও ওঠে। এরপর সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপের অংশ হিসেবে আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট কমানো হয় এবং উৎপাদন ও পরিশোধন পর্যায়ে ভ্যাট তুলে নেওয়া হয়। এ সময়ে বাজার অভিযানের পাশাপাশি ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর তেল সরবরাহ ও পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলোর কারখানা পরিদর্শন শুরু করে। পরিদর্শনে বেশ কিছু তথ্যে গরমিল ও অনিয়ম পাওয়ার কথা জানানো হয় অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে।

অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন,‘সম্প্রতি আমরা বাজারে সরবরাহ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য কোম্পানিগুলোর কারখানা পরিদর্শন করি। তাতে বেশ কিছু অনিয়ম ও অসামঞ্জস্যতা ধরা পড়ে। এ পরিদর্শনে দেখা গেছে, কোম্পানিগুলো ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় মার্চ মাসে বাজারে কম তেল সরবরাহ করছে।’ তিনি জানান,  ‍বুধবারের বৈঠকে আমরা বলেছি ডিলারদের যে এসও (সাপ্লাই অর্ডার) দেওয়া হয় সেটা তিন মাসের বেশি হলে তা বাতিল করতে হবে। সম্প্রতি আমরা মিলে গিয়ে দেখেছি সেখান থেকে সরবরাহ স্বাভাবিকের পর্যায়ে আছে এবং সেখানে পর্যাপ্ত মজুদও আছে। রমজানে দাম বাড়ানোর চেষ্টা যে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর থাকে সে সুযোগ এবার আমরা দেব না।

আগামী মঙ্গলবার থেকে সরকার নির্ধারিত প্রতি লিটার ১৬০ টাকা মূল্যের বোতলজাত তেল বাজারে আসছে জানিয়ে তিনি বলেন, এর চেয়ে কেউ বেশি মূল্য চাইলে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের হটলাইন ১৬১২১ নম্বরে জানাবেন।