গত কয়েক বছরের তুলনায় চলতি বছরে দর্জি কারিগরদের মজুরি ভালো পাওয়াতে খুশি কারিগররা। বাড়ছে আগ্রহ। এবারের ঈদে প্রতিটি প্যান্টের জন্য ৪৫০-৪৮০ টাকা, শার্টে ৩৫০-৩৮০ টাকা, পাঞ্জাবিতে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত মজুরি নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তারা।
পটুয়াখালী থেকে রকিবুল ইসলাম তনু:করোনা মহামারীর প্রাদুর্ভাবের দীর্ঘ দুই বছর পর স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে সবকিছু। এবার ঈদকে সামনে রেখে ঈদের আনন্দের হাওয়া বইয়েছে পোশাকের দোকানগুলোতে। কাজের গতি ও দিনে দিনে বাড়ছে দর্জি কারিগরদের ব্যস্ততা। ঠিক তেমনটাই পটুয়াখালী জেলাসহ উপজেলাগুলোর দর্জি কারিগরদের সপ্তাহের ব্যবধানে কাজ বেড়েছে দ্বিগুন ।
ডান-বাঁয়ের দেয়ালেও ঝুলছে নানা রঙ ও বেরঙের বানানো পোশাক। সেলাই মেশিনের একটানা খটখট আওয়াজ চলছে। এর মধ্যেই নেয়া হচ্ছে নতুন পোশাকের অর্ডার। একই সঙ্গে চলছে মাপ অনুয়ায়ী কাপড় কাটার কাজও। দোকানীদের এমন ব্যস্ততার পাশাপাশি ক্রেতাদের ভীড়ও দেখা গেছে গেলো কয়েক বছরের তুলনায়।
ক্রেতারাদের সাথে কথা বলে জানা যায় , আর কিছুদিন বাদেই পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। সবাই নতুন পোশাকে পরিবার প্রিয়জনদের সাথে নিয়ে ঈদের আনন্দ মেতে উঠেন। তারই ধারাবাহিকতায় পোশাক কিনতে এবং বানাতে পছন্দমতো মাপে ও ডিজাইনে পরতে অভ্যস্ত, তারা এখন ভিড় করছেন দর্জির দোকানগুলোতে। তাই জেলা,উপজেলা জুড়েই শহর কিংবা ইউনিয়ন পর্যায়ের বিভিন্ন দর্জির দোকানে এখন ভীষণ ব্যস্ততা।
দোকানিরা জানালেন, এখন ব্যস্ততাটা অনেকটা বেশিই। রমজান মাসের শুরুতেই আস্তে আস্তে এ ব্যস্ততা শুরু হয়েছে । শুরুতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করতে হতো, আর এখন সকাল থেকে গভীর রাত অবধি কাজ করতে হচ্ছে। তারা আরও জানান, পরিশ্রম একটু বেশি হচ্ছে, তবুও তারা খুশি। কারণ, ঈদের মৌসুমে বাড়তি কাজের অর্ডার হয়। এতে বাড়তি আয়ও করা যায়।
দর্জি কারিগরি আল-আমিন ,নুরুজ্জামান, জানান, দীর্ঘদিন ধরে করোনার কারণে কাজকাম খুব একটা না থাকাতে এবার একটু কাজের চাপ বেশি। রমজানের শুরু থেকে ক্রেতাদের চাপ হলেও দিনে দিনে ক্রেতাদের ভিড় আরও বাড়ছে।
গত কয়েক বছরের তুলনায় চলতি বছরে দর্জি কারিগরদের মজুরি ভালো পাওয়াতে খুশি কারিগররা। বাড়ছে আগ্রহ। এবারের ঈদে প্রতিটি প্যান্টের জন্য ৪৫০-৪৮০ টাকা, শার্টে ৩৫০-৩৮০ টাকা, পাঞ্জাবিতে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত মজুরি নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তারা।