Home Second Lead আওয়ামী লীগের জনসভায় সংঘর্ষে নিহত ১

আওয়ামী লীগের জনসভায় সংঘর্ষে নিহত ১

ছবি সংগৃহীত

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

বরিশাল: নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আওয়ামী লীগের জনসভার পূর্বে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সিরাজ সিকদার নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যের বরাতে পুলিশজানিয়েছে যে সংঘর্ষে নয়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। সিরাজ সিকদার হিজলা উপজেলার কুড়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা কোব্বাত সিকদারের ছেলে।

বরিশাল-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ দেবনাথ ও দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে নৌকার প্রার্থিতা বাতিল হওয়া আওয়ামী লীগ নেত্রী ড. শাম্মী আহমেদের সমর্থকদের মধ্যে শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পঙ্কজ ও শাম্মী উভয়ের অনুসারীরাই সিরাজকে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করেছেন।

মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ভুট্টো মোল্লা বলেন, আমরা পঙ্কজ নাথের মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে ঢুকছিলাম। আগে থেকে অবস্থান নেওয়া শাম্মী অনুসারীরা আমাদের বোতল নিক্ষেপ শুরু করে। এ সময় দুইপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। তখন লাঠি দিয়ে পিটিয়ে সিরাজসহ ১৫ জনকে আহত করে তারা। তাদের মধ্যে সিরাজ নিহত হয়েছেন।

শাম্মীর অনুসারী হিজলা উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, সিরাজ সিকদার জননেত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় আমাদের সঙ্গেই আসেন। তিনি গুয়াবাড়িয়া ৬ নম্বর ওয়ার্ড কৃষক লীগের সভাপতি। পঙ্কজ নাথের লোকজন জনসভাস্থলে আসার পর হাতাহাতি-মারামারির ঘটনা ঘটে। আমরা যেটুকু জানতে পেরেছি, তার গায়ে আঘাত লাগে এবং তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে হাসপাতালে আনার পর তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবর পেয়ে আমরা এখানে এসেছি। সিরাজ সিকদার ছাড়া ওই হামলায় আমাদের আরও ৪-৫ জন আহত হয়েছেন।

কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিচুল হক বলেন, সিরাজকে যিনি হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন, তিনি জানিয়েছেন, সিরাজ জনসভা মাঠে অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন। ওসি আরো বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সিরাজ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. কবির উদ্দিন বলেন, জনসভা থেকে একজনকে নিয়ে এসেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। তবু সন্দেহের কারণে আমরা মরদেহ মর্গে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

ডা. কবির আরও বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়ে হাসপাতালে ১৩ জন ভর্তি হয়েছেন। তাদেরও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।