ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বলেছে প্রশাসনের দায়সারা তদারকির কারনে ব্যবসায়ীরা বারবার বিনা কারনে খাদ্যপণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরী করে জনগনের পকেট কাটছে। সরকারের পক্ষ থেকে বাজার তদারকি ও চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য-পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ ও সরবরাহের কথা বলা হলেও বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়ছে। এ অবস্থায় খাদ্য বিভাগের আওতায় বাজারে ওএমএস চালু, টিসিবির মাধ্যমে খাদ্য-পণ্য বিক্রি বাড়ানো এবং প্রশাসনের সমন্বিত বাজার তদারকি জোরদারের দাবি জানিয়েছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম।
২৮ আগস্ট ২০২০ গণমাধ্যমে প্রেরিত বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ও ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান উপরোক্ত দাবি জানান।
বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন ইতিপূর্বে চাল, ডাল, পেয়াঁজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের বাজার অস্থির হলে বাণিজ্য মন্ত্রনালয়, জেলা প্রশাসন ঐ সেক্টরের ব্যবসায়ী, ভোক্তা ও সরকারের সংস্লিষ্ট দপ্তরকে নিয়ে পরামর্শ সভা আযোজন করে করনীয় নির্ধারন করতেন। এখন সে ধারা চলমান নেই। বাজার নিয়ন্ত্রণ এখন পুরোপুরি ব্যবসায়ীদের হাতে। প্রশাসন দায়সারা দু’একটি অভিযান পরিচালনা করেই ক্ষান্ত এবং সরকারকে অবহিত করছেন ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। প্রকৃত অর্থে এই ধারাবাহিকতাবিহীন খন্ডকালীন অভিযান বাজারে কোন প্রভাব ফেলার পরিবর্তে বাজারকে আরও উসকে দিচ্ছে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন চালের মূল্য বাড়লে খাদ্য বিভাগ খোলা বাজারে চাল বিক্রি (ওএমএস), ট্রাক সেল, টিসিবি ডিলার ও ট্রাক সেলের মাধ্যমে খাদ্য-ভোগ্যপণ্যের বিক্রি জোরদার করে থাকেন। কিন্তু বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই সে কর্মকান্ড অনেকটাই স্থবির। ফলে সাধারন ও শ্রমজীবি মানুষ একদিকে কর্মহীন, আয়, রোজগার হারিয়ে দিশেহারা। আর ব্যবসায়ীরা খাদ্য-পণ্যের দাম বাড়িয়ে বাড়তি মুনাফা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। আবার গণপরিবহন, করোনারোধে জীবানুনাশক সুরক্ষা সামগ্রী, চিকিৎসা সেবা, টেস্ট ও ওষুধ ক্রয়ে বাড়তি দামে জনগনের এমনিতে জীবনজীবিকা নির্বাহে নাভিশ্বাস উঠেছে। সেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য-ভোগ্যপণ্যের বাড়তি মূল্য এখন “মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা” হিসাবে আর্বিভূত হয়েছে।