ঢাকা: রাজধানীর বাড্ডায় ছেলে ধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেনু হত্যা মামলায় ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আলোচিত এ হত্যা মামলায় অভিযুক্তের ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এক অভিযুক্ত পলাতক বলে জানায় পলিশ। অপর চারজনের পূর্ণাঙ্গ নাম ঠিকানা সংগ্রহ সম্ভব না হওয়ায় তাদের অভিযুক্ত করা যায়নি। গ্রেপ্তারদের মধ্যে তিন অভিযুক্ত আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
অভিযোগপত্রে প্রাপ্তবয়স্ক অভিযুক্তরা হলেন মো. ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় হোসেন মোল্লা (২০), মোছা. রিয়া বেগম ওরফে ময়না বেগম (২৯), মো. আবুল কালাম আজাদ ওরফে আজাদ মন্ডল (৫০), মো. কামাল হোসেন (৪০), মো. শাহিন (৩২), মো. বাচ্চু মিয়া (৩৬), মো. বাপ্পী ওরফে শহিদুল ইসলাম (২১), মো. মুরাদ মিয়া (২৬), মো. সোহেল রানা (৩০), আসাদুল ইসলাম(২২), মো. বিল্লাল মোল্লা (৩২) ও মো. রাজু ওরফে রুম্মান হোসেন (২৩)।
অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিযুক্তরা হলো মো. জাফর হোসেন পাটোয়ারী (১৭) ও ওয়াসিম ওরফে মো. অসিম আহম্মদ (১৪)। তাদের বিরুদ্ধে পৃথক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। এ ছাড়া পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত মো. মহিউদ্দিন (১৮)।
গত বছরের ২০ জুলাই তাছলিমা বেগম রেনু তার ছেলে তাসিন আল মাহির ও মেয়ে তাসমিন তুবাকে উত্তর-পূর্ব বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করানোর জন্যে খোঁজখবর নিতে গেলে ছেলে ধরা সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় তার বোনের ছেলে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচ শজনের বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মহাখালীতে চার বছরের মেয়েকে নিয়ে থাকতেন রেনু। বছর দুই আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় তার। ১১ বছরের একটি ছেলেও রয়েছে রেনুর।
সূত্র: ডিএমপি নিউজ।