Home চেম্বার চেম্বার সভাপতির সাথে কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের সৌজন্য সাক্ষাৎ

চেম্বার সভাপতির সাথে কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের সৌজন্য সাক্ষাৎ

 

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় হতে নতুনভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত কমার্শিয়াল কাউন্সিলরগণ ১৯ সেপ্টেম্বর বিকালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি মাহবুবুল আলম’র সাথে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন। এ সময় চিটাগাং চেম্বার পরিচালক নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন ও সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব আবদুর রহিম খান ও উপ-সচিব সৈয়দা নাহিদা হাবিবা, আমেরিকার লস এঞ্জেলেসস্থ বাংলাদেশ কনস্যূলেট জেনারেল অফিস’র কমার্শিয়াল কাউন্সিলর খুরশিদুল আলম (উপ-সচিব), কোরিয়ার সিওলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস’র কমার্শিয়াল কাউন্সিলর ড. মোঃ মিজানুর রহমান (উপ-সচিব), মিয়ানমারের রেঙ্গুনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস’র কমার্শিয়াল কাউন্সিলর শাহেদুল আকবর খান (উপ-সচিব), ইরানের তেহরানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস’র কমার্শিয়াল কাউন্সিলর ড. জুলিয়া মঈন (উপ-সচিব), বেলজিয়ামের ব্রাসেলসস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস’র কমার্শিয়াল কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল আজম (যুগ্ম-পরিচালক), চায়নার কুনমিংস্থ বাংলাদেশ কনস্যূলেট জেনারেল অফিস’র ফার্স্ট সেক্রেটারী (কমার্শিয়াল) মোঃ বজলুর রশিদ (সিনিয়র সহকারী সচিব) এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আরশাদুল আলম উপস্থিত ছিলেন। সংশ্লিষ্ট দেশসমূহের সাথে বাংলাদেশের বর্তমান ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের তথ্যচিত্র উপস্থাপন করে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে কিছু সুপারিশ তুলে ধরেন বাংলাদেশ সেন্টার অব এক্সিলেন্স (বিসিই)’র প্রধান নির্বাহী ওয়াসফি তামিম। উল্লেখ্য, বিসিই হচ্ছে চেম্বারের একটি ইনিশিয়েটিভ যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে বিভিন্ন সেক্টরভিত্তিক গবেষণা কর্যক্রম পরিচালনা এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ নির্বাহী গড়ে তোলা।

সৌজন্য সাক্ষাতকালে চেম্বার সভাপতি মাহবুুবুল আলম বলেন-যেসব দেশে আপনারা নিয়োগ পেয়েছেন সেখানে আপনারাই বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন। আপনাদের সহযোগিতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রের দিকে এগিয়ে যাবে। ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে পণ্যের বহুমূখীকরণের কারণে বাংলাদেশ থেকে অনেক বেশী পণ্য রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। আপনারা উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সংযোগ স্থাপন করে দিবেন। মিরসরাই ইকনোমিক জোন দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক অঞ্চল যেখানে বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য আপনাদেরকেই মার্কেটিং করতে হবে। বাংলাদেশ এখন বে অব বেঙ্গল ট্রাইয়্যাঙ্গেল গ্রোথ এবং ব্লু ইকনোমিকে কাজে লাগিয়ে আগামি দিনে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী হবে। চেম্বার সভাপতি চট্টগ্রাম বন্দর ও চেম্বারের অতীত ইতিহাস এবং কর্মকান্ড সম্পর্কে কাউন্সিলরদের বিস্তারিত অবহিত করেন।

চেম্বার পরিচালক নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন মিয়ানমারে আইটি খাতের বিস্তারে বাংলাদেশী বিশেষজ্ঞদের কাজ করার সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে এ ব্যাপারে নবনিযুক্ত কমার্শিয়াল কাউন্সিলরকে উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ জানান। তিনি প্রয়োজনে চেম্বারের মাধ্যমে কাউন্সিলরদেরকে সহযোগিতা করার জন্য একটি সাপোর্ট প্ল্যাটফর্ম সৃষ্টি করার অভিমত ব্যক্ত করেন। চেম্বার পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর বলেন-ইরানে বাংলাদেশী তৈরীপোশাক রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। তিনি অন্যান্য দেশে সম্ভাবনাময় বাণিজ্য খাত চিহ্নিতকরণ ও তা কাজে লাগাতে বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করার জন্য কাউন্সিলরদের প্রতি অনুরোধ জানান।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব আবদুর রহিম খান বলেন-গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে বেসরকারি খাত ও সরকারি খাতের সম্পর্ক অনেক বেশী উন্নত হয়েছে। নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কাউন্সিলরদের অত্যন্ত মেধাবী উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্যে সেতুবন্ধন রচনায় তাঁরা সফল হবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন, যার মাধ্যমে বিদ্যমান সুবিধার সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। অন্যান্য কাউন্সিলরগণ আমেরিকাতে জিএসপি সুবিধা পুনর্বহাল, কোরিয়াতে বাংলাদেশী মৎস্য, কাঁকড়া ইত্যাদি রপ্তানিতে সহায়তা করা, ইরানের সাথে জয়েন্ট চেম্বার কার্যক্রম স্থাপন, মিয়ানমার হতে ভোগ্যপণ্য আমদানি, বেলজিয়ামে রপ্তানি পণ্যের বহুমূখীকরণ এবং চীনের সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্কোন্নয়নে কাজ করার কথা জানান।-সংবাদ বিজ্ঞপ্তি