খাগড়াছড়ি, সিলেটের এমসি কলেজসহ বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের প্রতিবাদে সোমবার ২৮ সেপ্টেম্বর
আন্দরকিল্লা মোড়ে প্রগতিশীল ছাত্রজোট এক বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
জোটের জেলা সমন্বয়ক ও ছাত্র ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি এ্যানি সেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাসুদ রানা, ছাত্রফ্রন্ট চট্টগ্রাম নগর সভাপতি রায়হান উদ্দিন, ছাত্রফ্রন্ট নগর কমিটির সহ সভাপতি দীপা মজুমদার। সভা সঞ্চালনা করেন ঋজু লক্ষী।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সারাদেশে এক অদ্ভুত বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু হয়েছে। ধর্ষকদের বিচার না হওয়াতে তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ফলে ধর্ষণের মাত্রা বেড়েই চলেছে। দেশে কিভাবে একজন নারী ধর্ষিত হওয়ার পরও একটা রাষ্ট্র নিরব থাকতে পারে আমরা সেই প্রশ্ন করতে চাই।
আরো বলেন, ছাত্রলীগ পুরোদস্তুর একটি ধর্ষক-নিপীড়ক প্রস্তুতকারী কারখানায় পরিণত হয়েছে। সেখানে অন্যায়ের পর তার বৈধতা দেওয়ার জন্য উঠে পরে লাগেন তাদের দায়িত্বশীল নেতারা। নিপীড়করা দলের কেউ না; বহিরাগত দাবী করে দায়সারা বিবৃতি দেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একশোর অধিক ছাত্রীকে ধর্ষণ করা ছাত্রলীগ নেতা মানিককে জনগণ ভুলে যায়নি। সুবর্ণচরে সন্তানের সামনে জননীর গণধর্ষণ জাতি ভুলে যায়নি। সর্বশেষ সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের ভেতরেও ছাত্রলীগ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে। ক্ষমতার চূড়ান্ত অপব্যবহারের সঙ্গে বিকৃত যৌন চাহিদা তাদের যেকোন সাধারণ নাগরিকের জন্য মূর্তিমান পিশাচে পরিণত করেছে।
সমাবেশে শেষে প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাব যাবার সময় চেরাগী পাহাড়ের মুখে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। -সংবাদ বিজ্ঞপ্তি