বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: পুঁজিবাজারের ৪১ কোম্পানিতে ন্যূনতম শেয়ার নেই। ন্যূনতম শেয়ার না থাকায় ক’দিন আগে ৯ কোম্পানির ১৭ পরিচালকের পদ শূণ্য ঘোষণা করে পুঁজিবাজার তদারকি সংস্থা- বিএসইসি। একই সাথে ২৭ অক্টোবর শেষ হচ্ছে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের সম্মিলিত শেয়ার ধারণে বিএসইসি’র আল্টিমেটাম।
২০১১ সালে ন্যূনতম শেয়ারধারণ আইন হলেও সেটি পরিপালন হয়নি। আগস্ট পর্যন্ত হিসাব বলছে- ঘোষণা ছাড়াই শেয়ার বিক্রি করেছে ৪১ কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালক। ১০ শতাংশেরও কম শেয়ার রয়েছে ৭ কোম্পানিতে। আইন না মানায় কঠোর শাস্তি হতে পারে এসব কোম্পানির পরিচালকদের।
ন্যূনতম শেয়ার ধারণের আইন পরিপালিত হলে এসব কোম্পানির শেয়ারে আস্থা বাড়বে বিনিয়োগকারীর। পুঁজিবাজার বিশ্লেষক মাহমুদ হোসেন এফসিএ বলেন, ‘একটা যৌক্তিক শেয়ার থাকবে যেটাকে ৩০ শতাংশ নির্ধারণ করা আছে। তখন তারা কোম্পানি পরিচালনায় আরো বেশ আন্তরিক হবে। এটা যদি এনশিউর করা যায় বাজারের জন্য দীর্ঘ মেয়াদে ভালো হবে। এটা যখন পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করা হবে, তখন ক্যাপিটাল মার্কেটে একটা পজিটিভ ধারা ফিরে আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
সিকিউরিটিজ আইন বিশ্লেষকরা বলছেন, আইন না মানলে জেল-জরিমানা হতে পারে এসব কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের।
এদিকে, ওটিসি মার্কেটে থাকা চার কোম্পানি ও দুটি ডিবেঞ্চারকে তালিকাচ্যুতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। এক্ষেত্রে শেয়ার বাইব্যাক হলে অর্থ ফেরত পাবেন বিনিয়োগকারী। আগামি ১০ বছর নতুন আইপিও বাজারে আনতে পারবে না তালিকাচ্যুত কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকরা।
কোম্পানি আইন ও অর্থনীতি বিশ্লেষক ব্যারিস্টার এ এম মাসুম বলেন, ‘এই যে ৩০ শতাংশ কোম্পানি যে নাই এখানে পরিচালকরা লায়াবল থাকবে। কারণ সেকশন ১৮ অনুযায়ী তারা ভুল তথ্য দিয়েছে টাইম টু টাইম। এজন্য তাদের মামলায় জরিমানা হতে পারে। এছাড়া ক্রিমিনাল পানিশমেন্টও দিতে পারে। প্রায় ৫ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।’