বিজনেসটুডে২৪ সংবাদদাতা
কক্সবাজার: উখিয়ার কুতুপালং শিবিরে দফায় দফায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর এই সংঘর্ষে চারজন নিহত এবং অর্ধশত গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর জানিয়েছে পুলিশ। তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা স্হানীয়দের।
মঙ্গগলবার (৬ অক্টোবর) মাগরিবের নামাজের পর পরই কুতুপালং লম্বাশিয়া এলাকায় গোলাগুলি শুরু হয়।
নিহতদের মধ্যে মুন্না বাহিনীর প্রধান রোহিঙ্গা মুন্নার দুই ভাই মোহাম্মদুল্লাহ এবং গিয়াসুদ্দিন রয়েছে ।
গত ছয় দিনে কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে এক নারীসহ আট জন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনার পর পরই শিবিরের শত শত রোহিঙ্গা নিজেদের বস্তি ছেড়ে স্হানীয় গ্রাম এলাকায় পালাচ্ছে। এছাড়া গোলাগুলির কারণে নিরাপত্তার জন্য প্রশাসন কুতুপালং ২ নম্বর শিবিরের দুই শতাধিক পরিবারের রোহিঙ্গাদের পার্শ্ববর্তী শিবিরে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। একজনের গলাকাটা ও অপর ৩ জন গুলিবিদ্ধ। এ ঘটনায় একজন আনসার সদস্য আহত রয়েছে।
রোহিঙ্গারা জানায়, গত বেশ কিছুদিন ধরে নতুন আসা রোহিঙ্গা এবং পুরানো রোহিঙ্গাদের মধ্যে সংঘাত চলে আসছে। তাদের এক গ্রুপে মুন্না বাহিনী এবং অপর গ্রুপে আনাস বাহিনী নেতৃত্ব দিচ্ছে।কুতুপালং লম্বাশিয়া এলাকাসহ শিবিরের বিশাল পাহাড়ী এলাকা জুড়ে গোলাগুলি হয়।