Home কর্পোরেট রিলায়েন্স কমিউনিকেশন:৩০ হাজার কোটি লোকসান, অনিল অম্বানির ইস্তফা

রিলায়েন্স কমিউনিকেশন:৩০ হাজার কোটি লোকসান, অনিল অম্বানির ইস্তফা

অনিল অম্বানি

মুম্বই: দেনার দায়ে জর্জরিত রিলায়েন্স কমিউনিকেশন। দেউলিয়া হয়ে পড়েছে সংস্থা। এবার ওই সংস্থার ডিরেক্টর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অনিল অম্বানি। শনিবার সংস্থার তরফ থেকে এই বর ঘোষণা করা হয়েছে।

শুধু অনিল অম্বানিউ নয়। সেইসঙ্গে ছায়া ভিরানি, রায়না কারানি, মঞ্জরি ক্যাকার, সুরেশ রঙ্গচর নামে আরও ডিরেক্টর পদত্যাগ করেছে ওই সংস্থা থেকে।

রিলায়েন্স কমিউনিকেশন বা আর কমের তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে যে সংস্থার চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার পদ থেকেও ইস্তফা দিতে চেয়েছেন শ্রী মনিকান্তন ভি।

১৫ নভেম্বর সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী লোকসানের পরিমান দ্বিতীয় কোয়ার্টারে ৩০,১৫৮ কোটিতে পৌঁছেছে, প্রথম কোয়ার্টারে যা ছিল ৩৬৬ কোটি।

মে মাসে সরকারি ভাবে আর কমকে দেউলিয়া ঘোষণা করা হয়। দেউলিয়া প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে মামলা চলাকালীন ৩৫৭টি দিন বাদ দেওয়ার জন্য সংস্থার করা আবেদন খারিজ করে ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইব্যুনাল (এনসিএলটি) অনিল অম্বানির সংস্থা রিলায়েন্স কমিউনিকেসন (RCom)কে দেউলিয়া ঘোষণা করে ৷

অনিল অম্বানির এই সংস্থার ঋণ রয়েছে ৫০,০০০ কোটি টাকার উপর। অনিল অম্বানির সংস্থাটি আবেদন করেছিল, প্রাথমিক দেউলিয়া প্রক্রিয়ার ব্যাপারে ২০১৮ সালের ৩০মে থেকে ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সময়কালটা বাদ দিতে যেহেতু ওই সময়টা স্থগিতাদেশ ছিল প্রথমে ন্যাশনাল কোম্পানি ল অ্যাপিলেড ট্রাইব্রুনাল-এ এবং পরে সুপ্রিম কোর্টে৷

অনিলের দাদা মুকেশ অম্বানির রিলায়েন্স জিও যেভাবে বিনামূল্যে কল এবং সস্তায় ডেটা দিতে থাকেন তারই জেরে টেলিকম পরিষেবা দিতে মাসুল যুদ্ধে নেমে রিলায়েন্স কমিউনিকেশন বড় ক্ষতির মুখে পড়ে ৷ আর-কম তাদের দেউলিয়া প্রক্রিয়া আটকাতে রিলায়েন্স জিওকে স্পেকট্রাম বেচের পথে গেলেও সরকারি ও অন্যান্য দিকে সব কিঠু ঠিক করে লেনদেন করে উঠতে পারেননি৷

গত মার্চে মুকেশের সৌজন্যে এরিকসন মামলায় জেলযাত্রা থেকে বেঁচে যান। কিন্তু তারপরও অনিল অম্বানির বিপদ কাটেনি। তাঁর বাণিজ্যিক সাম্রাজ্যেকে বাঁচাতে রিলায়েন্স ক্যাপিটাল-এর সম্পত্তি বিক্রি করতেও মরিয়া হন তিনি ৷ টেলিকম, বিদ্যুৎ, পরিকাঠামো সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনিলের সংস্থাগুলিতে এখন আকাশছোঁয়া আর্থিক ঋণভার৷ এত দিন সুরক্ষিত থাকলেও রিলায়েন্স ক্যাপিটাল (আরক্যাপ) যা ভারতের পঞ্চম বৃহত্তম মিউচ্যুয়াল ফান্ড সেটির হাতে মার্চের শেষে নগদ সঞ্চয় কমতে কমতে এখন মাত্র ১১ কোটি টাকা। শেয়ারবাজারে এই শিল্পগোষ্ঠীর সাতটি নথিভুক্ত সংস্থার বর্তমান ক্ষয়িষ্ণু অবস্থা এবার অনিলের সাধ্যের বাইরে চলে যায়।