সানডে হোক বা মানডে মাছ ভাতের পরেই বাঙালীর দ্বিতীয় পছন্দের খাবার হল ডিম। বাঙালী হোক বা অবাঙালী ডিম খেতে অপছন্দ করেন এমন লোকের সংখ্যা হাতে গোনাই হতে পারে , বাকি যারা ডিম খেতে খুব পছন্দ করেন তাঁদের জন্য টিপস!
ডিম তো খাবেনই কিন্তু সপ্তাহে কত গুলি খাবেন সে সম্পর্কে কেউই খুব একটা ওয়াকিবহাল নয়, ফলে অতিরিক্ত ডিম খাওয়ার জন্য শরীরে একদিকে যেমন হাই প্রোটিন ঢুকছে ঠিক একই ভাবে আপনার নিজের অজান্তেই শরীরে বাসা বাঁধছে কিছু গোপন রোগও।
এতদূর পড়ে আপনার মনে হতেই পারে তাহলে কি বলছে এবার কি ডিম খাওয়ায় ছেঁড়ে দিতে হবে? আজ্ঞে একদমই না।
ডিম অবশ্যই খাবেন কারন প্রাণীজ প্রোটিনের মধ্যে সবথেকে বেশি হাই প্রোটিন রয়েছে দিমে, সকালবেলা একটি ডিম খেলে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে আবার অনেকক্ষন খিদেও পাইনা ফলে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত কাজ করার এনার্জিও পাওয়া যায় ডিম খেলে।
সঠিক পরিমানে ডিম খাওয়া অত্যান্ত পুষ্টিকর দেহের পক্ষে। ডাক্তাররা বলেন, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ দিনে তিন/চারটি ডিম খেতেই পারেন, এতে শরীরের কোনও ক্ষতি হয় না। একটি ডিমের কুসুমে কোলেসটরল থাকে আশি থেকে তিনশো মিলিগ্রাম, কিন্তু ডিমের সাদা অংশ কোলেসট্রল ফ্রী তাই এটা খাওয়ায় যেতে পারে। তবে শিশুদের সপ্তাহে কখনই একটার বেশি ডিম দেওয়া উচিত নয়। তবে ডিমে প্রচুর স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকাই ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগীদের ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রে একটু সাবধানতা মেনে চলাই শ্রেয় বলে জানাছেন পুষ্টিবিদরা।
এছাড়াও বেসন, ময়দা বা অন্য কোনও উপাদানের সাথে ডিম না মিশিয়ে বরং সিদ্ধ ডিম খাওয়ায় বেশি উপকারি, কারন ডিমের সঙ্গে অন্যান্য উপাদান মিশিয়ে তেলে দিলে ডিমের কার্যকারিতা অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে। সুতরাং আণ্ডে খান কিন্তু নিয়ম মেনে খান ।