Home Second Lead স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল: ৫৮ ভাগ কাজ শেষ

স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল: ৫৮ ভাগ কাজ শেষ

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু টানেলের ৫৮ শতাংশের বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

টানেলটির প্রকল্প পরিচালক (পিডি) ইঞ্জিনিয়ার হারুনুর রশীদ চৌধুরী সোমবার বলেন, “প্রস্তাবিত টানেলটির মোট দৈর্ঘ্য হবে ৯.৩৯ কিলোমিটার। এর মধ্যে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে টানেলটির প্রধান অংশ যাবে, যার দৈর্ঘ্য হবে ৩.৩২ কিলোমিটার। এ ছাড়া প্রকল্পটিতে ৭৪০ মিটার সেতুর পাশে ৪.৮৯কিলোমিটার সড়কও নির্মিত হচ্ছে “

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্রিজ অথোরিটি কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ৩.৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ চার লেনবিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু টানেলটি নির্মাণ করছে। এটি দেশের প্রথম চার লেন বিশিষ্ট টানেল।

রশীদ আরও বলেন, চলমান করোনা মহামারির মধ্যে কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পটি দেশের জন্য একটি বিশেষ সাফল্য।

২ হাজার ৪৫০ মিটার দীর্ঘ টানেল টিউবের বোরিং কাজের (যন্ত্রের সাহায্যে মাটি খনন) পাশাপাশি রিং স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। দ্বিতীয় টানেল টিউবের বোরিং কাজ নভেম্বর-ডিসেম্বর নাগাদ সম্পন্ন হবে।

চলতি বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর নাগাদ চীনের জিয়াংশু প্রদেশের ঝেনজিয়াং নগরীতে ১৯ হাজার ৬১৬টি মেগমেন্টের মধ্যে ১৭ হাজার ৭২৬টি মেগমেন্ট নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।

এগুলোর মধ্যে প্রায় ১৪ হাজার ৬৪টি অংশ চট্টগ্রামের নির্মাণস্থলে আনা হয়েছে এবং আরও ৯ হাজার ৭৮৪টি মেগমেন্ট নির্মাণাধীন টানেলে স্থাপন করা হয়েছে।

প্রকল্প পরিচালক আশা করছেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা না দিলে টিউবে রিং স্থাপনের কাজ আগামী মে থেকে জুন মাসের মধ্যেই সম্পন্ন হবে।

টিউব দুটি লেন চারটিকে এক করবে এবং প্রতিটি টিউব ৩৫ ফুট চওড়া ও ১৬ ফুট উঁচু হবে।

আরও বলা হয়, প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে চট্টগ্রামের পরিবহন ব্যবস্থার অনেক উন্নয়ন ঘটবে, যানজট হ্রাস পাবে। পাশাপাশি টানেলটি এই অঞ্চলের সঙ্গে গোটা দেশের অর্থনীতি উন্নয়নে অবদান রাখবে।

প্রকল্পটি ২০২২ সাল নাগাদ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ২০১৭ সালের ১৪ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

পরে গত ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী টানেলের বোরিং কাজের উদ্বোধন করেন।

প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৩৭৪.৪২ কোটি টাকা। চাইনিজ এক্সিম ব্যাংক এই প্রকল্পে ৫হাজার ৯১৩.১৯ কোটি টাকা দেবে।

-বাসস