Home স্বাস্থ্য গেঁটেবাত থেকে মুক্তির উপায়

গেঁটেবাত থেকে মুক্তির উপায়

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক:

গেঁটেবাতে বিশ্বের প্রচুর মানুষ ভুগছেন। প্রচুর চর্বিজাতীয় খাবার, মিষ্টি, অ্যালকোহল এই রোগের প্রধান কারণ। একটু সতর্ক হলে রক্ষা পাওয়া যায় এই রোগ থেকে। রান্নায় সতর্কতা আসলে চর্বি এড়িয়ে খাওয়া-দাওয়া করা কঠিন কিছু নয়।

ননস্টিকি হাড়ি বা কড়াইয়ে রান্না করলে তেমন তেলের দরকার হয় না। কারণ, তেল, চর্বি বেশি খেলে তা কিডনির মাধ্যমে ইউরিক অ্যাসিড নির্গমণকে বাধা দেয় এবং তার ফলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়, যা গেঁটেবাতে সহায়ক।

যে কোনো ধরনের ব্যায়াম হাঁটাহাটি, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা বা আপনার পছন্দমতো ব্যায়াম করতে পারেন। ব্যায়াম শরীরের জয়েন্টগুলোর জন্য পুষ্টির মতো কাজ করে।

তাছাড়া ব্যায়াম শরীরকে সচল রাখতেও সহায়তা করে। যদিও এ ব্যাপারের অনেকের ধারণা ঠিক উল্টো, অর্থাৎ অনেকে মনে করেন, গেঁটেবাতের রোগীর জন্য ব্যয়াম নিষিদ্ধ। তবে এ বিষয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়াই ভালো।

আপনি কি মাংস কিংবা ফ্যাট কম খান? যদি তা হয় এবং যদি অ্যালকোহলকেও দূরে রাখেন, তাহলে কিন্তু আপনার গেঁটেবাত হওয়ার আশংকা স্বাভবিকভাবেই কমে যায়। আর যদি এর উল্টোটা হয়, তাহলে খানিকটা চিন্তার বিষয়ই বটে!

যেসব খাবার নিষিদ্ধ গরু বা বাছুরের কলিজা, হেরিং, ট্রাউট, সার্ডিনেন মাছ খাবারের তালিকা থেকে পুরোপুরি বাদ দিতে হবে, কারণ, এসব খাবারে থাকে প্রচুর পিউরিন, যা কি না শরীরে ইউরিক অ্যাসিড গঠনে সহায়তা করে থাকে। মাত্র ৩৬০ গ্রাম গরুর কলিজায় থাকে ১০০ গ্রাম পিউরিন।

খেতে পারেন গেঁটেবাতের রোগীদের নুডলস, ভাত, আলু, গাঁজর, ফুলকপি, টমেটো, আপেল, দই, পনির এসব খাওয়ায় বারণ নেই, কারণ, এসব খাবার পিউরিন-ফ্রি। গেঁটেবাতের রোগী হালকা তেতো চকলেট খেতে পারেন।

প্রচুর পান করুন! তবে সঠিক পানীয় … জল পান করাই উত্তম, কারণ, অ্যালকোহল রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের ঘনত্ব বাড়ায়। কেউ দীর্ঘদিন অ্যালকোহল পান করলে তার গেঁটেবাত বেড়ে যেতে পারে।

ফ্রুট জুসও নয় কিন্তু! ফলের রসে থাকে প্রচুর চিনি, যা কি না গেঁটেবাত হতে সহায়তা করে থাকে। সে-কারণেই চিনি ছাড়া প্রতিদিন দুই লিটার করে বিভিন্ন স্বাদের হার্বাল চা পান করতে পারেন নিশ্চিন্তে।