আকাশপথে পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য চার্জ মওকুফ করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। আজ বুধবার বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। জনস্বার্থে এই চার্জ মওকুফ করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আকাশপথে যেকোনো পচনশীল দ্রব্য পরিবহনের ক্ষেত্রে প্রতি কেজিতে ১৮ টাকা চার্জ প্রদান করতে হয়। আজ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
এ প্রসঙ্গে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহিবুল হক বলেছেন, পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রাখতে জনগণের স্বার্থে যত দিন এভাবে আকাশপথে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে তত দিন এই চার্জ মওকুফের ব্যবস্থা কার্যকর থাকবে। আকাশপথে পেঁয়াজ আমদানির সঙ্গে সম্পৃক্ত সব ব্যবসায়ীকে এ ব্যাপারে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করা হবে।
দাম কম ও সহজ পরিবহনের কারণে ভারত থেকে প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। ভারতের মহারাষ্ট্র ও অন্য এলাকায় বন্যার কারণে পেঁয়াজের ফলন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে কিছুদিন আগে রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারত প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইস (এমইপি) নির্ধারণ করে দেয়। গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ভারত কর্তৃপক্ষ পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে। বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশ মিয়ানমার, মিশর, তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে। কিন্তু এরই মধ্যে বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম ধাপে ধাপে বাড়তে বাড়তে ২০০টাকা ছাড়িয়ে যায়।
এমন পরিস্থিতিতে পেঁয়াজের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে কার্গো উড়োজাহাজে করে পেঁয়াজ আমদানি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে তুরস্ক থেকে, এস আলম গ্রুপ মিসর থেকে এবং আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আফগানিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে জরুরি ভিত্তিতে কার্গো উড়োজাহাজের মাধ্যমে পেঁয়াজ আমদানি করছে।
আকাশপথে পেঁয়াজের প্রথম চালান আজ বুধবার রাতে মিসর থেকে আসবে। ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সৌদিয়া এয়ারলাইনসের যাত্রীবাহী উড়োজাহাজে প্রথম এই চালানটি এসে পৌঁছাবে। পরদিন বিসমিল্লাহ এয়ারলাইনসের পণ্যবাহী উড়োজাহাজে দ্বিতীয় চালান আসবে। আগামী শুক্রবার তৃতীয় চালান আসবে সৌদিয়া এয়ারলাইনসের যাত্রীবাহী উড়োজাহাজে।