বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
সিলেট: আমরণ অনশনে বসা রায়হান আহমদের মায়ের অনশন ভাঙিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশেনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। রবিবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যার আগে রায়হানের মা সালমা বেগমকে শরবত খাইয়ে অনশন ভাঙান মেয়র।
এসময় মেয়র আরিফ রায়হানের মাকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, রায়হান হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার দাবিতে আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলবো। তারপরও অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার না হলে সিলেটবাসীকে সাথে নিয়ে আমিও বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো।
মেয়রের আশ্বাসে অনশন থেকে উঠলেও এসময় রায়হানের মা সালমা বেগম বলেন, আমি আর আশ্বাস শুনতে চাই না। এখন উদ্যোগ দেখতে চাই। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার চাই।
এর আগে রোববার (২৫ অক্টোবর) সকালে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সামনে রায়হানের মা সালমা বেগমসহ তার পরিবারের সদস্যরা অনশন শুরু করেন। অনশনে সংহিত জানিয়ে অনেকেই অংশ নেন। বিকেলে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে সড়ক অবরোধ করে দেয় বিক্ষোব্ধ জনতা।
রায়হান হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত এসআই আকবর হোসেন ভূইয়াসহ অন্য অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন বলেও সেসময় জানিয়েছিলেন সালমা বেগম।
সকাল ১১ টা থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বন্দরবাজার ফাঁড়ির সামনের রাস্তায় বসে পড়েন। এ সময় আশপাশের বাসিন্দারাও তাদের সাথে সংহতি জানিয়ে অনশনে অংশ নেন। অনশনকারীদের হাতে ছিল হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন ফেস্টুন। এছাড়া মাথায় সাদা কাপড় পরে অনশনে অংশ নিয়েছেন রায়হানের পরিবারের সদস্যরা।
গত ১১ অক্টোবর রায়হানকে হত্যার পর থেকেই পরিবার ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে টানা বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হচ্ছে। রায়হান হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে এরআগে সংবাদ সম্মেলনকরে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন মা সালমা বেগম। তাতেও কাজ না হওয়ায় আজ থেকে অনশন শুরু করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত গত ১১ অক্টোবর সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে নগরীর নেহারিপাড়া মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে রায়হান আহমদকে গুরুতর আহত অবস্থায় ওসমানী মেডেকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন বন্দরবাজার ফাঁড়ির এএসআই আশেকে এলাহী। সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান রায়হান। এ ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী থানায় মামলা করেন। এরপর বন্দর বাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবরসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিন জনকে প্রত্যাহার করা হয়।