বাগান করতে কম বেশি আমরা সকলেই ভালবাসি। গাছ আমাদের পরম বন্ধু একথা আমরা প্রত্যেকেই জানি।আর এই কথাগুলোই ভীষণ ভাবে সত্যি হয়ে উঠেছে করোনাকালীন মহামারীর সময়। গত সাতমাস পুরো পৃথিবী থমকে গিয়েছে, লকডাউন চলেছে শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র। দীর্ঘদিন গৃহবন্দি থেকে হাঁপিয়ে উঠেছে মানুষ। এই অঢেল নিরানন্দ সময়ে ডিপ্রেশন থেকে বাঁচতে বাগান করার নেশায় মেতে উঠেছেন অনেকেই। ছাদ থেকে ব্যালকনি বিভিন্ন রকমের টবে নানা গাছ লাগিয়ে আনন্দ পেয়েছেন।
বাগান তো নিশ্চয়ই করবেন, কিন্ত বাগানের যত্ন করবেন কী করে? গাছেদের লালন পালন করা তো চারটিখানি কথা নয়! বাইরের রাসায়নিক কিন্তু গাছেদের জন্যে খুব একটা স্বাস্থ্যকর নয়। বরং ঘরোয়া উপায়েও রান্নাঘরের ফেলে দেওয়া উপাদান দিয়ে খুব সহজেই যত্ন নিতে পারেন আপনার বাগানের গাছেদের।
আসুন দেখে নিই, এই দরকারি উপাদানগুলো কী কী?
১. কলার খোসা
কলার খোসা গাছের সার হিসেবে যথেষ্ট কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এর ভেতরে পটাশিয়াম থাকে,যা গাছের জন্যে খুবই উপকারি। খোসাগুলোকে ছোটো ছোটো টুকরো করে তাতে জল মিশিয়ে ২৪ ঘণ্টা রাখার পর ব্যবহার করা হয়। এই সার গাছের বৃদ্ধিকে আরও সুন্দর করে তোলে।
২.ডিমের খোলা বা খোসা
ডিমের খোসায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। আপনার রান্নাঘরের যা কিছু বর্জ্য পদার্থ তাই কিন্তু আপনার বাগানের গাছের জন্যে উপকারি সার। অন্যান্য গাছের পাশাপাশি এই সার টমেটোর গাছের গোড়ায় দিলে গাছ ভাল থাকে, এবং ফলন বৃদ্ধি পায়।
৩.কফি এবং চা পাতা
মাটির পিএইচ এর মাত্রাকে ঠিক রাখতে কফির ভূমিকা রয়েছে। গোলাপ এবং টমেটো গাছে কফি এবং চা পাতা দিলে তা গাছের বৃদ্ধি ঘটায়। চা করার পর চা-পাতাকে জলে ধুয়ে নিয়ে, শুকিয়ে গাছের গোড়াতে দিলে উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও গ্রিন টি ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন গাছের যত্নের ক্ষেত্রে। একটি টি-ব্যাগে দুই লিটার পর্যন্ত জল ব্যবহার করা যায়।
৪.পেঁয়াজ এবং রসুনের খোসা
পেঁয়াজ আর রসুনের খোসাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, এবং আয়রন যা গাছের গোড়াকে মজবুত করে। আপনার রান্নাঘরের বর্জ্যপদার্থই হয়ে উঠবে গাছের সার যদি আপনি চান!
পেঁয়াজ ও রসুনের খোসাকে একলিটার জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এর ৩-৪ দিন পরে আবার এই মিশ্রণেজল দিয়ে পাতলা করতে হবে এবং তারপর গাছে দিতে হবে।
হাতের কাছেই রয়েছে সমাধান। আর বাইরে যেতে হবে না, ঘরোয়া পদ্ধতিতে খুব সহজেই যত্ন নিন আপনার বাগানের গাছদের।
-বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক