Home টপ নিউজ সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকবিরোধী অভিযান চলবে: সেনাকুঞ্জে প্রধানমন্ত্রী

সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকবিরোধী অভিযান চলবে: সেনাকুঞ্জে প্রধানমন্ত্রী

 সন্ত্রাস, জঙ্গিাবাদ ও মাদকবিরোধী অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে বিকেলে সেনাকুঞ্জে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

সেনাকুঞ্জে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন সশস্ত্র বাহিনীর বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা, তাদের পরিবারের সদস্য, কুটনীতিকসহ আমন্ত্রিত বিশিষ্ট অতিথিরা। প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুরুতেই সম্প্রসারিত ও পুনঃনির্মিত সেনাকুঞ্জ ভবনের উদ্বোধন করেন তিনি।

এ সময়, মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে দেশের ক্রান্তিকাল পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে সশস্ত্র বাহিনীর অবদানের কথা উল্লেখ করে বাহিনীকে যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে যার যার অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার আহ্বানও জানান তিনি।

দেশের গণতান্ত্রিক ধারা ও সংবিধানকে সমুন্নত রাখতে সততা ও নিষ্ঠার সাথে নিজেদের দায়িত্ব পালনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। সন্ত্রাস ও দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে সরকারকে সহযোগিতার আহ্বানও জানান শেখ হাসিনা।

আধুনিক প্রযুক্তি ও উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীকে যুগোপযোগী হিসেবে গড়ে তোলার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীকে একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে কাজ চলছে। এর জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আলাদা ইনস্টিটিউট, একাডেমি ও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি এ সময় সশস্ত্র বাহিনীকে সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে বর্তমান সরকার কাজ করছে। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সশস্ত্র বাহিনীকে কাজ করে যেতে হবে।

সেনা সদস্যদের কাজের প্রশংসা করে এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগও সেনা সদস্যরা বুক চিতিয়ে মোকাবিলা করছেন। এছাড়া রোহিঙ্গা সদস্যদের আশ্রয় ও নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়েও তারা প্রশংসনীয় কাজ করছেন। দেশের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন দেশে শান্তিরক্ষা মিশনেও আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রশংসা পেয়েছেন।

এ সময় বিভিন্ন মিশনে দায়িত্বপালন করতে গিয়ে শহীদ হওয়া সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান প্রধানমন্ত্রী।

সশস্ত্র বাহিনীর নারী সদস্যদেরও প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। বিভিন্ন মিশনে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।

সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সিলেট, কক্সবাজারের রামু ও বরিশালে পৃথক তিনটি পদাতিক ডিভিশন গড়ে তোলা হয়েছে। বিস্তীর্ণ সমুদ্রসীমা ব্যবহারে নৌবাহিনী কাজ করছে। দেশে তাদের যুদ্ধজাহাজ বানানোর কাজ চলছে। বিমানবাহিনীর জন্য বিভিন্ন উন্নত উপকরণ সংগ্রহ করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, প্রযুক্তি ও আধুনিক উপকরণের মাধ্যমে প্রতিটি বাহিনীকে যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আলাদা ইনস্টিটিউট, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। আমাদের মিলিটারি একাডেমি আজ বিশ্বে প্রশংসিত। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সুযোগ-সুবিধাও বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই। নিজেরা নিজেদের দেশ গড়ে তুলতে চাই। কারও থেকে সাহায্য নিয়ে আর চলতে চাই না।

আগামী প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য সুন্দর ও শান্তির একটি দেশ রেখে যেতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

বিজনেসটুডে২ে৪ ডেস্ক