বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে ঢাকা কাস্টম হাউজ।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ইউনিটগুলোর মধ্যে একমাত্র ঢাকা কাস্টম হাউজ লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছে।
কমিশনার মো. মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, শুল্কায়নের ক্ষেত্রে পণ্য পরীক্ষার গুণগত মান বাড়ায় ফাঁকি রোধ করা সম্ভব হয়েছে। বিশেষ করে পোস্ট ক্লিয়ারেন্স অডিটে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার কারণে ফাঁকি কমেছে। এর ফলে রাজস্ব আদায় বাড়ছে।
এ সময়ে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১৮৪ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে ১২০৮ কোটি টাকা। তা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৪ কোটি টাকা অধিক। গত বছরের একই সময়ের তুলনায়ে এবারে ঢাকা কাস্টম হাউজের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল রাজস্ব আদায় বেড়েছে ৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
করোনার কারণে যাত্রী ও পণ্য আসা-যাওয়া কমে যাওয়া সত্ত্বেও ফাঁকি ধরার ক্ষেত্রে সতর্কতা ও পোস্ট ক্লিয়ারেন্স অডিটে গুরুত্ব দেওয়ার ফলে ফাঁকির প্রবণতা কমে গেছে। ঢাকা কাস্টম হাউজের রাজস্ব আদায়ের প্রধান খাত আমদানিকৃত মোবাইল ফোন। এ ছাড়া সফটওয়্যার ও এর যন্ত্রাংশ, ঔষধের কাঁচামাল, বাণিজ্যিক পণ্য, তৈরি পোশাক পণ্য ও ফলমূল জাতীয় পণ্য থেকেই মূলত রাজস্ব আদায় বেশি হয়। তবে মোবাইল ফোনের সংযোজন শিল্পকে (অ্যাসেম্বলিং) আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার কারণে গত কয়েক মাসে এ খাত থেকে রাজস্ব আদায় কমেছে প্রায় ৮০ কোটি টাকা।