বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক:
দেখতে দেখতে সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞার এক বছর শেষ হয়ে এলো। বুধবার (২৮ অক্টোবর) এক বছর শেষ হবে। বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) থেকে খেলতে আর বাধা থাকবে না বিশ্বের অন্যতম অলরাউন্ডারের।
বাংলাদেশ ক্রিকেটকে বড় ধাক্কাই দিয়েছিল গত বছরের ২৯ অক্টোবর। ২৮ অক্টোবর দিবাগত রাতে হঠাৎ গুঞ্জন ওঠে, নিষিদ্ধ হতে পারেন দেশসেরা ক্রিকেটার সাকিব। এই খবরে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো দেশের ক্রিকেট।
টানা ১২-১৩ ঘণ্টা মিরপুর শেরেবাংলায় ভিড় জমান গণমাধ্যমকর্মীরা। পুরো স্টেডিয়ামের চারপাশ ঘিরে ছিলেন ভক্তরা। দীর্ঘ অপেক্ষার পর সন্ধ্যা নামতেই সেই গুঞ্জন সত্যিতে রূপ নেয়। জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করায় দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন সাকিব।
সাকিবকে ফাঁসানোর পেছনে ছিলেন দীপক আগারওয়াল নামের একজন ভারতীয় জুয়াড়ি। মোট তিনটি অভিযোগ এনে সাকিবকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে আইসিসি। তবে ভুল স্বীকার করায় এক বছরের শাস্তি কমানো হয়।
আইসিসির অ্যান্টিকরাপশন ইউনিটের (এসিইউ বা আকসু) ২.৪.৪ অনুচ্ছেদের মধ্যেই তিনটি অপরাধ করেছিলেন সাকিব। যেগুলো হচ্ছে :
১. ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়েকে নিয়ে বাংলাদেশের যে ত্রিদেশীয় সিরিজ হয়েছিল, অর্থাৎ ২০১৮ আইপিএলে প্রথম ম্যাচ গড়াপেটার (ফিক্সিং) প্রস্তাব পান সাকিব। কিন্তু এ বিষয়ে তিনি আইসিসির অ্যান্টিকরাপশন ইউনিটকে (এসিইউ) বিস্তারিত কোনো কিছুই জানাননি।
২. একই ধারার অধীনে অপরাধ: ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের সময়ই আরো একটি ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু তখনো সে বিষয়ে সাকিব আইসিসিকে অবহিত করেননি।
৩. একই ধারার অধীনে অপরাধ: ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের মধ্যকার ম্যাচেও ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু সে বিষয়েও তিনি আইসিসি কিংবা সংশ্লিষ্ট দুর্নীতি দমন সংস্থাকে কিছুই জানাননি।