বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: রেয়াজউদ্দিন বাজারের আড়তে আলু নেই। পাইকাররা আলু সরবরাহ করছে না।
এখানে আলু পাঠান প্রধানত মুন্সিগঞ্জের ব্যবসায়ীরা। আড়ৎদাররা কমিশনে বিক্রি করেন। কিন্তু ৩ দিন ধরে ব্যবসায়ীরা এখানে আলুর ট্রাক পাঠাচ্ছেন না। তাই আড়ৎ ফাঁকা। কর্মিরা অলস সময় পার করছেন।
মেসার্স কুসুমপুরা বাণিজ্যালয়ের প্রোপ্রাইটার মোহাম্মদ ফেরদৌস এ প্রসঙ্গে জানান, কয়েকদিন আগে এখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করেছেন সরকার নির্ধারিত দরের অতিরিক্ত বিক্রি করায়। অথচ আমরা কমিশন এজেন্ট। ব্যবসায়ীরা আমাদের আড়তে পণ্য পাঠান। তারা ঠিক করে দেন দাম। সেই দামে আমরা বেচি। এক্ষেত্রে আমরা কেজি হিসেবে কমিশন পাই কেবল।
আরও জানান, ঐ অভিযানের পর আমরা জানিয়ে দিয়েছি যে সরকারের নির্ধারণ করে দেয়া দরের অতিরিক্ত দামে বিক্রি করবো না। কিন্তু মুন্সিগঞ্জ এবং উত্তরাঞ্চলের ব্যবসায়ীরা তাতে রাজি না। রিয়াজউদ্দিন বাজারের পরিবর্তে তাদের আলুর ট্রাক যাচ্ছে স্টিল মিল বাজার, চাক্তাই এবং বহদ্দারহাটের আড়তে। সেসব স্থানে কোন অভিযান হয়নি । আড়ৎদাররা অতিরিক্ত দরে বিক্রি করতে পারছেন। ব্যবসায়ীরা আলুর ট্রাক সেসব জায়গায় পাঠাচ্ছেন।
সরবরাহ না থাকায় বৃহত্তম বাজারের আলুর আড়ৎসমূহ খালি। অধিকাংশ আড়তে ঝুলছে তালা। আড়তের কর্মিরা অলস সময় পার করছেন।
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) অভিযান পরিচালিত হয় রেয়াজউদ্দিন বাজারের আড়তে। ৪০-৪২ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি এবং বিক্রি রশিদ দেখাতে না পারায় রেয়াজউদ্দিন বাজারের কুমিল্লা ট্রেডার্স, কুসুমপুরা বাণিজ্যালয়, রফরফ ট্রেডার্স, জননী ট্রেডার্স, মক্কা বাণিজ্যালয়, আবু তৈয়ব ট্রেডার্স, দাউদকান্দি বাণিজ্যালয়, শাহাবউদ্দিন ট্রেডার্স, আশীষ হাওলাদার ট্রেডার্সকে মোট এক লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।