সুমন চৌধুরী
চট্টগ্রাম: মাস্ক পরার নির্দেশনা থাকলেও মানছে না কেউ। হাটবাজার থেকে শুরু করে গণপরিবহনেও এর ব্যবহার নেই। যেন এক উদাসহীনতার ভাব। কে শোনে কার কথা,মাস্ক ছাড়াই যাচ্ছেন এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে।
বুধবার (০৪ নভেম্বর) সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীতে গণপরিবহনে অধিকাংশ যাত্রী ব্যবহার করছে না মাস্ক। তারওপর গাঁদাগাঁদি। স্বাস্থ্যবিধি তো দূরের কথা ঝুঁকি নিয়ে বাস-মিনিবাসে চলাচল করছে। দূরপাল্লার বাসগুলোতে যাত্রীদের মুখে কারো আছে কারো নেই। হাটবাজারে তো একেবারে নেই বললে চলে।
১০ নম্বর রুটের বাস যাত্রী ইরফান বিজনেসটুডে২৪ কে বলেন, আমরা পরিবহন শ্রমিকদের কাছে জিম্মি। রেডিও, টেলিভিশন থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে করণীয় সম্পর্কে বলা হচ্ছে। বিশেষ করে মাস্ক ব্যবহার, হাত ধোয়া, সামজিক দূরত্ববোধ ইত্যাদি। কিন্তু দেখেন গণপরিবহনগুলোতে চালকের মুখে মাস্ক থাকলেও হেলপার ও যাত্রীদের নেই। আর দূরত্ববোধের তো প্রশ্নই আসে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একই রুটের কয়েকজন বাস চালক বিজনেসটুডে২৪ কে বলেন, সারাদিন মুখে মাস্ক রাখা সম্ভব হয় না। গরম লাগে,কতক্ষণ লাগানোর পর খুলে ফেলি।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল বিজনেসটুডে২৪ কে বলেন, মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে আমরা সকল বাস মালিকদের সাথে বৈঠক করেছি। পরিবহনের সকল শ্রমিকের কাছে বাধ্যতামূলক মাস্ক থাকতে হবে। মাস্কবিহীন কোনো যাত্রী না নিতেও বলা হয়েছে। আগামী ১০ নভেম্বর আমরা এ বিষয়ে মনিটরিং শুরু করব।
এদিকে, মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে মাস্কবিহীন ব্যক্তিদের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে স্পট জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সারাবিশ্বে করোনার সংক্রমণ রোধে মাস্ক ব্যবহারের উপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও আমরা এ বিষয়ে সচেতন নই। হাঁচি বা কাশি থেকে ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি কিছুটা কমাতে সাহায্য করতে পারে এই মাস্ক। মাস্ক ব্যবহারে আইন প্রয়োগের আগে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক হাসান শাহরিয়ার কবির বিজনেসটুডে২৪ কে বলেন, সংক্রমণ রোধ থেকে রক্ষায় মাস্কের কোনো বিকল্প নেই। এর ব্যবহার নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। মাস্ক ও সচেতনতামূলক নিফলেট বিলি শুরু হয়েছে। জেলা এবং উপজেলা পর্যালয়ে হাসপাতালগুলো প্রস্তত করা হয়েছে। অক্রিজেন সরবরাহও নিশ্চিত করা হয়েছে।