বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: ৬৯টি শস্য গুদামের মালিকানা পেয়েছে কৃষি বিপণন অধিদফতর। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের কাছ থেকে মালিকানা পান।
বৃহস্পতিবার (০৫ নভেম্বর) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক প্রধান অতিথি এবং স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘শুধু ৬৯টি নয়, সারাদেশেই আমাদের খাদ্য গুদাম করতে হবে। আমরা দাবি করছি আমরা কৃষিবান্ধব, সেটা আমরা প্রমাণ করেছি।’
স্থানীয় সরকার বিভাগের গুদাম হস্তান্তরের উদ্যোগকে অত্যন্ত মহৎ হিসেবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘সবাই সাম্রাজ্য বাড়াতে চায়। কিন্তু স্থানীয় সরকার বিভাগ খুব সহজেই ৬৯টি গুদাম হস্তান্তর করছে এবং কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করার জন্য জমি দিচ্ছে। আমি তাদের ধন্যবাদ দিচ্ছি। এটা দিয়ে আমাদের শুরু। আমরা এই প্রকল্পকে আরও সম্প্রসারিত করব।’
তিনি বলেন, ‘মজুতের অভাবে কম দামে কৃষকের ধান বিক্রির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ১৯৭৮ সালে চিন্তা করেছিলাম, কৃষককে ধান যাতে বিক্রি করতে না হয়, কিছুদিন ধান যেন রাখতে পারে। তার সংসার চলবে কী করে, সেজন্য ৮০ ভাগ ঋণ দিয়ে দৈনন্দিন খরচ মেটানোর উদ্যোগ নেয়া হয়। ধানের দাম যখন বাড়বে তখন যাতে বিক্রি করে বেশি মূল্য পায়। প্রকল্পটি অনেক আগেই বিস্তৃত হওয়ার কথা ছিল। দুঃখজনকভাবে সেটি হয়নি।’
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, কৃষকদের বহুবিদ জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। এতে করে কৃষকরা আরও বেশি আধুনিক জ্ঞানে সমৃদ্ধ হবে। ফলে কৃষিতে আরও বড় ধরনের বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। ‘বাংলাদেশ এক সময় খাদ্য ঘাটতির দেশ ছিল। এখন আর আমাদের খাদ্য আমদানি করতে হয় না। শুধু দানাদার খাদ্য নয়, মৎস্য, পশু উৎপাদনসহ নানাবিধ ফসলের অর্জন দেখে সারাবিশ্ব আজ আমাদের দেখে হিংসা করে।’