দিল্লি: মন্দার কবলে ভারতের অর্থনীতি। ১৯৪৭ সালের পর তা এই প্রথম।
রিজার্ভ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মাইকেল পাত্রের নেতৃত্বাধীন কমিটির করা সমীক্ষার রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২০–২১ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে দেশের জিডিপি ৮.৬ শতাংশ সংকুচিত হতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে নির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ করবে ২৭ নভেম্বর।
প্রথম কোয়ার্টারে দেশের জিডিপি সংকোচন হয়েছিল ২৩.৯ শতাংশ। পরপর দুটি কোয়ার্টারে জিডিপি সংকুচিত হলে অর্থনীতি মন্দার কবলে বলে ধরা হয়। আর যদি সেই মন্দা সাময়িক হয় অর্থাৎ তার রেশ কাটিয়ে অর্থনীতি আবার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে তবে তাকে টেকনিক্যাল রিসিশন বা আপাতমন্দা বলা হয়। চলতি অর্থবর্ষের তৃতীয় কোয়ার্টার থেকে অর্থনীতি বৃদ্ধির মুখ দেখতে পারে। আরবিআইয়ের সমীক্ষা রিপোর্টেই একে আপাতমন্দা হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে সেটাই বলেছেন।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনা মহামারির কারণে সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে কঠিন সময় এসেছে। তার প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতে। লকডাউন পর্বের পর দেশের ব্যাংকগুলিতে জমার পরিমাণ বেড়েছে। আর্থিক কর্মকাণ্ড সচল হয়েছে। তৃতীয় অর্থাৎ অক্টোবর–ডিসেম্বর কোয়ার্টারে ফের বৃদ্ধির সরণিতে ফিরবে দেশ। অনেক অর্থনীতিবিদও এর সপক্ষে বক্তব্য রেখেছেন। তাঁরা বলছেন, মন্দার পরিস্থিতি খুব শীঘ্রই কেটে যাবে। দেশে গাড়ি বিক্রি বাড়ছে। ভোগ্যপণ্যের বাজার চাঙ্গা হয়েছে। উৎসবের মরশুমে কেনাকাটা বেড়েছে।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন আত্মনির্ভর ভারত অভিযান ৩.০ প্রকল্প ঘোষণা করতে গিয়ে বলেন, মে মাসে আত্মনির্ভর ভারত অভিযান ১.০ এবং অক্টোবরে ২.০ প্রকল্প, দুই আর্থিক প্যাকেজের জেরেই অর্থনীতি দ্রুত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। বৃহস্পতিবার নামী মূল্যায়ন সংস্থা মুডিজ জানিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে দেশের জিডিপি ৮.৯ শতাংশ সংকুচিত হতে পারে। এর আগে তাদের পূর্বাভাস ছিল, জিডিপি ৯.৬ শতাংশ সংকুচিত হতে পারে। এই পূর্বাভাস ছাঁটাইয়ের তথ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর দাবি, সরকারের পরিকল্পনামাফিক সিদ্ধান্তও পদক্ষেপেই অর্থনীতির হাল ফিরেছে।
-বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক