বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক:
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার পৌর শহরের কেওয়া পূর্বখণ্ড গ্রামে ব্যতিক্রমী জি- নাইন(G-9) কলার বাম্পার ফলন হয়েছে। এই কলা অন্য কলার তুলনায় অনেক বেশি সুস্বাধু। এর আকার তুলনামূলক অনেক বড়।
অন্য জাতের কলার তুলনায় এই জাতির কলার ছড়িতে ৪০ থেকে ৬০ হালি কলা পাওয়া যায়। যা বাজার দর সাড়ে চারশ থেকে পাঁচশ টাকা।
বাংলাদেশে প্রায় তিন বছর ব্যক্তিগত গবেষণা করে ইজরাইল থেকে আসা জি নাইন জাতের কলার বাণিজ্যিক চাষ শুরু করেন দেলোয়ার হোসেন নামের এক কৃষক।
কৃষি কাজে যুক্ত থাকার সুবাদে তিনি বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন। অন্যান্য দেশে স্বল্পব্যয়ে কৃষক কলা চাষে অনেক বেশি সফলতা পেয়েছে।
এ বিষয়ে তিনি কৌতুহলী হয়ে ভিন্ন জাতের এ কলা চাষ ও কলার জাত সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। খোঁজ নিয়ে ভারতের পুনে থেকে জি নাইন জাতের কিছু টিস্যু কালচার চারা বাংলাদেশ নিয়ে আসেন। নিজের জমিতে সেগুলো পরীক্ষামুলকভাবে রোপণ করেন। রোপনের পর সেগুলো থেকে আশানুরূপ ফল পেয়েছেন।
কৃষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, এই কলার জাত দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে হলে চারা উৎপাদন করতে হবে। চারা উৎপাদনের জন্য টিস্যু কালচার ল্যাব স্থাপন করা বাধ্যতামুলক। আর এই প্রক্রিয়াটিও সরকারি সহযোগিতা ছাড়া একজন কৃষকের জন্য ব্যয়বহুল ও অসম্ভব। সরকারি উদ্যাগে এ কলা চাষে কৃষকদের সহযোগিতা করতে হবে।
সারাবছর জি নাইন জাতের কলা রোপন করা যায়। তবে ডিসেম্বর মাস এই জাতের কলা রোপণের আদর্শ সময়। এক একর জমিতে ১২শ গাছ রোপন করা যায়; বলেন দেলোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, এই কলার রপ্তানি বাজার খুবই ভালো। কলার গায়ে যদি বিশ্ব বাজারে চাহিদার মত রঙ আনা যায় তাহলে এই কলা রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা খুবই সহজ। তবে রঙ আনতে হলে যে প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয় তা অনেক ব্যয়বহুল। তৃণমূলের কৃষকের পক্ষে এই ব্যয় বহন করা কষ্টসাধ্য। তাই কলা প্রসেসিংয়ের জন্য সরকারি সহযোগিতা অত্যন্ত প্রয়োজন।
শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এ এস এম মূয়ীদুল হাসান বলেন, জি নাইন কলা খুবই সুস্বাদু দেখতেও দৃষ্টি নন্দন । ফলনেও অনেক বেশি সাফল্য মিলে এ কলা চাষে। কৃষকদের মাঝে ব্যাপক হারে এ কলা চাষের পদ্ধতি ও চারা ছড়িয়ে দিতে হবে। এ কলা বিদেশেও রপ্তানির ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।