সামনেই যীশু খ্রিস্টের জন্মদিন। তার আগেই যীশু যে ঘরে তাঁর ছোটবেলা কাটিয়েছেন, সেই ঘর খুঁজে পেয়েছেন বলে দাবি জানিয়েছেন এক প্রত্নতাত্ত্বিক। খবর শুনেই গোটা দুনিয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এরই মধ্যে। তাঁর মতে ইজরায়েলের এই ঘরেই থাকতেন যীশু। তার প্রমাণও পেয়েছেন তিনি।
রিডিং ইউনিভার্সিটির প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক কেন ডার্ক দাবি করেছেন, তাঁর খুঁজে পাওয়া সেই ঘরেই শৈশব কেটেছে যীশুর। তিনি জানিয়েছেন ইজরায়েলের নাজারেথ শহরের এক গির্জার নীচে রয়েছে সেই ঘর। ১৪ বছর ধরে তিনি এ বিষয়ে প্রচুর পড়াশোনা করেছেন, দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন।
১৯৩৬ সাল পর্যন্ত ওই ঘর সম্পর্কে কেউ জানতেন না, কোনও তথ্য প্রমাণও পাওয়া যায় নি। কিন্তু পরে জানা যায়, ওই ঘরের উপরেই নাকি গির্জা তৈরি করা হয়েছিল যীশুর বাবা জোসেফের উদ্যোগে। জোসেফ খুব ভাল কারিগর ছিলেন। এই ঘর তাঁরই তৈরি। ধরা হচ্ছে, এখানে মাতা মেরি ও জোসেফ থাকতেন। পরে যীশুর শৈশব এখানেই কাটে।
তবে নাজারেথের এই ঘরের অস্তিত্ব প্রথম খুঁজে পাওয়া যায় ১৮৮০ সালে। তখনই অভিজ্ঞরা জানান, এই ঘরের কথা যাতে কেউ না জানতে পারেন, তাই এর উপরেই ওই গির্জা তৈরি করা হয়েছিল।
অধ্যাপক কেন ডার্ক তাঁর বই ‘দ্য সিস্টার্স অফ নাজারেথ কনভেন্ট’-এ লিখেছেন কীভাবে চার্চের সিস্টাররা তাঁকে এই কাজে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করেছেন। এই সিস্টাররাই তাঁদের প্রধান মেরে জিরাডের আদেশ পেয়ে খননকার্য চালানোর উদ্যোগ নেন। ১৯৩৬ থেকে ১৯৬৪ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে চলে এই খনন কাজ। সেখান থেকেই তাঁদের ধারণা আরও স্পষ্ট হয়, এখানেই যীশুখ্রিস্ট থাকতেন।
অধ্যাপক ডার্ক ২০০৫ থেকে ২০১৬ সাল অবধি নাজারেথ শহরের এই চার্চে গবেষণা করেছেন। তখনই গবেষণার কাজের জন্য তিনি সিস্টারদের থেকে সেই তথ্যগুলি পান। এমন আরও প্রমাণের কথাই তাঁর বইতে লেখা আছে। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন যীশু এই ঘরেই শৈশব কাটিয়েছেন।