আইন ও বিধির বাধ্যবাধকতাঃ ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (Rule), ২০০৮’ এর বিধি ৪৯ অনুযায়ী দরপত্রে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দরপত্রে অংশগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পেশাগত সক্ষমতা থাকতে হবে। সে অনুযায়ী দরপত্রদাতা বা আবেদনকারীকে বাংলাদেশ, বা যে দেশের নাগরিক সেই দেশের সংশ্লিষ্ট প্রচলিত আইনের শর্ত মোতাবেক কোন পেশাগত বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে নিবন্ধিত হতে হবে।
ঠিকাদারী লাইসেন্স নিবন্ধনঃ বৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য ব্যবসা নিবন্ধণ করাটা গুরুত্বপূর্ণ। সরকার প্রদত্ত সুযোগ সুবিধাগুলো পেতে হলে রেজিষ্ট্রেশন এর প্রয়োজন হয়। একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শুরু করার পূর্বে প্রথমেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা গঠনতন্ত্র নির্ধারণ করতে হবে। বিভিন্ন ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্রচলিত আছে
১. এক মালিকানা/ব্যাক্তি মালিকানা প্রতিষ্ঠান ২. অংশীদারী প্রতিষ্ঠান ৩. যৌথমূলধনী প্রতিষ্ঠান (প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানী/পাবলিক লিমিটেড কোম্পানী) কোথায় নিবন্ধন করবেন ? নিম্নলিখিত অফিস থেকে সাধারণত ট্রেড লাইসেন্স ফরম সংগ্রহ করা যায়ঃ ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন।
নিবন্ধন প্রক্রিয়াঃ আপনার প্রতিষ্ঠান সিটি করপোরেশন এর ক্ষেত্রে যে জোন এর অর্ন্তভূক্ত, ঐ জোনাল অফিস থেকে আর ইউনিয়ন বা পৌরসভার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিস হতে নির্দিষ্ট ফরম সংগ্রহ করতে হবে। ফরম এর মূল্য ১০ টাকা। এক্ষেত্রে ব্যবসা এর প্রকারভেদ অনুযায়ী বিভিন্ন অঙ্কের ফি প্রযোজ্য।
আবেদন পত্রের সাথে ৩ কপি ছবি, ভাড়ার চুক্তি পত্র ও ভাড়ার রশিদ, কর পরিশোধের রশিদসহ কর কর্মকর্তার বরাবর আবেদন করতে হয়। লিমিটেড কোম্পানীর ক্ষেত্রে Memorandam এর কপি দাখিল করতে হয়। অতঃপর প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই এর ভিত্তিতে মূল ট্রেড লাইসেন্স বই সংগ্রহ করা যাবে।
লাইসেন্স নবায়ন: লাইসেন্স নবায়ন একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। ট্রেড লাইসেন্স এর সাথে নবায়নের চালান বই থাকে। নির্ধারিত ব্যাংকে প্রয়োজনীয় ফি জমা প্রদানের মাধ্যমে বৎসর ভিত্তিক নবায়ন করা যায়।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।