গণমাধ্যমে তথ্যের বিপণনের সাবেকি প্রথা এখন অতীত। এই স্মার্ট ফোনের যুগে মানুষ ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, গুগলসহ একাধিক সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তাৎক্ষণিক-ভাবে জেনে যাচ্ছে কি ঘটছে তাদের চারপাশে। সম্প্রতি কানাডিয়ান জার্নাল অফ সাইকিয়াট্রিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, টেলিভিশন, কম্পিউটার, বা সোশ্যাল মিডিয়ার অত্যধিক ব্যবহার অত্যধিক সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার কতটা মারাত্মক? কী বলছে গবেষণা বয়ঃসন্ধিকালের তরুণ তরুণীদের মধ্যে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা তৈরি করছে। কানাডার মন্ট্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, এই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার তাদের কাছে এতটাই নেশার মত হয়ে উঠেছে যে, কিশোর-কিশোরীরা সোশ্যাল মিডিয়া, টেলিভিশন কম্পিউটারের ব্যবহার হ্রাস করলেই তাদের বিষণ্ণতা ও উদ্বেগের লক্ষণগুলি তীব্র হয়ে ওঠে। গবেষণায় আরও দেখা যায় যে, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া গুলির অতিরিক্ত ব্যবহারে কিশোরকিশোরীদের মানসিকতায় অস্বাভাবিক সব পরিবর্তন হচ্ছে, ১০ বছরের মেয়েও তার দৈহিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগছে। কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং তার সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলির সম্পর্ক বুঝতে গবেষকরা উচ্চবিদ্যালয়ের ১২ থেকে ১৬ বছর বয়সের কিশোর কিশোরীদের মধ্যে একটি সমীক্ষা করেছিলেন।সাধারণ দিনে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলির পাশাপাশি টেলিভিশন, ভিডিও গেম কম্পিউটার এর জন্য তারা কতটা সময় ব্যয় করে তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। অধিকাংশ ব্যবহারকারীই তাদের হতাশা, বিষণ্ণতা, উদ্বেগের কারণ হিসাবে সোশ্যাল মিডিয়াকেই দায়ী করেছে। ফেসবুকে ছবি আপলোডে সমস্যা! গোটা বিশ্বে তিন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ ঘিরে তোলপাড় মন্ট্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্যাট্রিসিয়া কনরোড এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ” এই ফলাফলগুলি থেকে বোঝা যায় যে কিশোর-কিশোরীদের উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ করার একটি উপায় হল তাদের ডিজিটাল পর্দার সামনে কাটানো সময়ের পরিমাণ অনেকাংশে সীমাবদ্ধ করতে হবে”।