চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে বিদেশগামীদের করোনা পরীক্ষা করে ৯ কোটি ১৮ লাখ ৫১ হাজার টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। বিপুল পরিমাণ এই রাজস্ব আয় করে সিভিল সার্জন কার্যালয় রীতিমতো তাক লাগিয়েছে অন্য দপ্তরগুলোকে। এ আয় সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে। ২০ জুলাই থেকে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মাধ্যমে বিদেশগামীদের করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার শুরু হয়। প্রথমে ফি ছিল সাড়ে তিন হাজার টাকা। এক মাস পর কমিয়ে ফি দেড় হাজার টাকা করা হয়।
জানা গেছে, চট্টগ্রামে বিদেশগমনেচ্ছুদের প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করতে হয় ১ হাজার ৫০০ টাকা ‘নগদ’ এর মাধ্যমে। আরও ১৫ টাকা নগদ ফি পরিশোধ করতে হয়। পরদিন রেজিস্ট্রেশনের সিরিয়াল অনুযায়ী সিভিল সার্জন কার্যালয় সংলগ্ন জেনারেল হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এসব নমুনা ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। তৃতীয় দিন সিভিল সার্জন কার্যালয়ে রিপোর্ট দেওয়া হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এই পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলায় ৫৫ হাজার ৫৫৯ জন বিদেশগামী করোনা পরীক্ষা করিয়েছেন। তাদের ফি বাবদ এই আয় সম্ভব হয়েছে। প্রথমে পরীক্ষার সংখ্যা কম থাকলেও এখন তা বেড়েছে। ফলে রাজস্ব আয় আরও বাড়বে মনে করছেন কার্যালয় সংশ্লিষ্টরা।
সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি দেশ রূপান্তরকে বলেন, সর্বশেষ গত ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৫১ হাজার ৭৮১ জনের করোনা পরীক্ষার টাকা জমা দিয়েছি। যা প্রায় ৯ কোটি ১৮ লাখ ৫১ হাজার টাকা। ধাপে ধাপে আমরা কোষাগারে টাকা জমা দিই। গত শনিবার পর্যন্ত মোট ৫৫ হাজার ৫৫৯ জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। তাদের ফি আগামী ধাপে জমা দেওয়া হবে। তখন রাজস্ব আরও বাড়বে।
-বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক