Home আন্তর্জাতিক নেপালে সরকার ভেঙে দেয়ার সুপারিশ

নেপালে সরকার ভেঙে দেয়ার সুপারিশ

নেপালের শাসক দল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রবল। দলের মধ্যেই কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। তাঁর সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। আর তাই নাকি জরুরি বৈঠক ডেকে সরকার ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী। স্থানীয় বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে এইরকম দাবি করা হয়েছে।

কাঠমাণ্ডু পোস্ট সূত্রে খবর, শনিবার দলের শীর্ষনেতাদের সঙ্গে বেশ কয়েক দফা বৈঠক করেছেন কে পি শর্মা ওলি। তারপরেই রবিবার সকালে মন্ত্রী পরিষদের বৈঠক ডেকেছিলেন তিনি। সেখানেই নাকি তিনি সবাইকে জানিয়ে দেন, তাঁর সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। তাই সরকার ধরে রাখার কোনও মানে হয় না। সরকার ভেঙে দেওয়া হোক।

সংবাদমসংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিষ্ণু রিজাল জানিয়েছেন, “পার্লামেন্টারি পার্টি, সেন্ট্রাল কমিটি ও সেক্রেটারিয়েটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। তাই সরকার ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করেছেন তিনি।”

অন্যদিকে কাঠমাণ্ডু পোস্ট জানিয়েছে, মঙ্গলবার সংবিধানের পরিষদীয় আইনে অধ্যাদেশ এনেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই অধ্যাদেশ নিয়ে দলের মধ্যেই চাপ বাড়ছিল তাঁর উপর। কিন্তু মঙ্গলবারই প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারিকে দিয়ে সেই অধ্যাদেশে সই করিয়ে নেন প্রধানমন্ত্রী। তারপরেও অসন্তোষ থামেনি। কে পি শর্মা ওলির বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ ছিল দলের অন্দরেই।

এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমের সামনে কিছু না বললেও গত কয়েক মাস ধরে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ও করোনা সংক্রমণ নিয়ে বারবার সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। বিরোধীরা ক্রমাগত অভিযোগ তুলছিল, করোনা সংক্রমণ রুখতে ব্যর্থ সরকার। এছাড়া তাঁর সময়ে দেশের অর্থনীতি হাল খুব খারাপ বলেও অভিযোগ ওঠে। দলের মধ্যেও সমর্থন কমছিল তাঁর উপর থেকে। তাই কি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওলি? প্রশ্ন উঠছে।

মাই রিপাব্লিকা সূত্রে খবর, নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির এক নেতা মাধব কুমার নেপাল জানিয়েছেন, “এভাবে সরকার ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক। তাই প্রধানমন্ত্রীর উচিত এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা।”

২০২২ সালে আগামী সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা নেপালে। তার অনেক আগে থেকেই ডামাডোল শুরু হল সেদেশের প্রশাসনে।

-বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক