Home আন্তর্জাতিক ভ্রমণ তদারকিতে ভ্যাকসিন পাসপোর্ট!

ভ্রমণ তদারকিতে ভ্যাকসিন পাসপোর্ট!

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক:

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া শুরু হওয়ায় দীর্ঘদিনের বন্দিদশা থেকে বের হয়ে অনেকেই আগের মত ভ্রমণ, কেনাকাটা শুরু করেছেন। তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই ‘স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই’ মর্মে নতুন নতুন অনেক কিছুই সঙ্গে রাখতে হবে। এমনকি ভ্রমণ তদারকির সময় ‘ভ্যাকসিন পাসপোর্ট’ দেখানো লাগতে পারে।

রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) মার্কিন সংবাদ সংস্থা সিএনএনের এক খবরে এমনটাই বলা হয়েছে।

বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশের প্রযুক্তি কোম্পানি ইতোমধ্যে স্মার্টফোন অ্যাপ উন্নয়নে কাজ করছে। যেখানে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা ও ভ্যাকসিন সংক্রান্ত সব তথ্য থাকবে। যেটা ডিজিটাল পরিচয়পত্র হিসেবে কাজ করবে এবং এটাই কনসার্ট ভেন্যু, স্টেডিয়াম, সিনেমা হল, অফিস-আদালতে প্রবেশের সময় এমনকি বৈদেশিক ভ্রমণেও তা কর্তৃপক্ষকে দেখাতে হবে।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম ও জেনেভাভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান কমনস প্রজেক্ট এ জন্য কমন (সাধারণ) একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরিতে কাজ করছে। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ক্যাথি ফ্যাসিফিক, জেটব্লু, লুফথানসা, সুইস এয়ারলাইন্স, ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স এবং ভার্জন আটলান্টার মতো অনেক বিমান পরিবহন সংস্থা ও শত শত স্বাস্থ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান।

এই ‘কমনপাস’ অ্যাপটিতে ব্যবহারকারী তার করোনা পরীক্ষার ফলাফলসহ স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য জমা রাখবেন। এ ছাড়া টিকা নিয়েছেন কি না, এ সংক্রান্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের দেয়া সনদও কিউআর কোডের মাধ্যমে এখানে রাখা যাবে যা বৈদেশিক ভ্রমণকালে বা স্থানান্তরকালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সহজেই যাচাই করতে পারবেন।

তবে ওই অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অন্যান্য বিষয় দেখা যাবে না। এক দেশ থেকে অন্য দেশে ঢুকতে বা বের হতে প্রস্থান পয়েন্টে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য এতে জমা থাকবে।

এই অ্যাপ প্রসঙ্গে দ্য কমনস প্রজেক্টের প্রধান বিপণন ও যোগাযোগ কর্মকর্তা থমাস ক্রাম্পটন বলেন, আপনি যতবারই দেশের সীমানা অতিক্রম করবেন ততবারই আপনি করোনা পরীক্ষার মুখোমুখি হবেন। কিন্তু আপনি নিশ্চয় ততবার করোনার ভ্যাকসিন নেবেন না। তাই আপনার দরকার সহজে বিশ্বাসযোগ্যভাবে আপনার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সব তথ্য দ্রুত স্থানান্তর করা। এ জন্য একটা ডিজিটাল ইয়োলো কার্ড যেটা আপনার ভ্যাকসিন পাসপোর্ট হিসেবে কাজ করবে, এটি সঙ্গে থাকলে বিষয়টি বেশ সহজ হয়।

গুগল ও অ্যাপলও তাদের কর্মীদের জন্য স্মার্টফোনে ব্যবহার উপযোগী ব্লু-টুথ নির্ভর একটি ব্যবস্থা চালু করেছিল। যার মাধ্যমে জানা যাবে ব্যবহারকারী করোনা আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শে আছেন কি না।

জায়ান্ট প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইবিএম তাদের কর্মকর্তাদের জন্য নিজস্ব একটি অ্যাপ ডেভেলপ করছে। যাকে ‘ডিজিটাল হেল্থ পাস’ নাম দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। যেখানে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের করোনাভাইরাসের পরীক্ষা, তাপমাত্রা পরীক্ষা ও ভ্যাকসিন সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য সংরক্ষণ করা থাকবে।