বিজনেসটুডে ২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: কর্ণফুলী নদীর তীর ঘেষে বিস্তৃত নেভাল টু। এটি অভয়মিত্র ঘাট নামেও পরিচিত। শত বছর পুর্বের বয়োবৃদ্ধ প্রয়াত হিন্দু ব্যবসায়ী জনৈক অভয়মিত্রের নামানুসারে এর নামকরণ হলেও মানুষের যাওয়া-আসার কারণে ধীরে ধীরে এর নাম অভয়মিত্র ঘাট নামে পরিচিতি পায়।
পতেঙ্গা নেভাল এলাকার আবহ থাকায় স্থানীয়রা এর নাম দিয়েছেন “নেভাল টু”।
কর্ণফুলী নদী, সারি সারি জাহাজ,শাহ আমানত সেতুর সৌন্দর্য উপভোগ করতে এই ঘাটে আনাগোনা থাকে মানুষের। যদিও করোনা মহামারীর কারণে মানুষের পদচারণা কিছুটা কমলেও বর্তমানে তাদের কোলাহলে মুখর।
প্রতিদিনই নগরী এবং নগীরর বাহিরের উপজেলাগুলো থেকে মানুষ এসে ভিড় করে এখানে।
দেখা গেছে, কর্ণফুলী নদীর বহমান জল ধারা, ভাসমান দেশি বিদেশি রং-বেরংয়ের জাহাজ ঠাঁই দাড়িয়ে আছে এই ঘাটে। যেন ছোট ছোট দালানের এক শহর গড়েছে পানির মধ্যে। এখানে গড়ে উঠেছে ১৭টি ভাসমান দোকান। তারমধ্যে, ৯টি চটপটির দোকান চিংড়ির মাথা ফ্রাইয়ের দোকান ১টি, কাঁকড়া ফ্রাইয়ের দোকান ৫টি ও বাচ্চাদের রকমারি খেলনার দোকান ও চায়ের দোকান রয়েছে। আগতরা ঝালমুড়ি ও বাদাম নিয়ে গল্পগুজবে মেতে উঠেছে।
দোকানিরা জানান, শুক্রবার ছাড়াও সরকারি বন্ধে মানুষের সমাগম বেশি হয়। মাঝখানে করোনার জন্য তেমন দর্শনার্থী ছিল না। এখন তুলনামূলক হারে অনেক বেড়েছে।
অভয়মিত্রঘাটে ভাসমান চটপটি দোকানী ফরহাদ হোসেন জানান, বিকাল ৩টা থেকে ৮ টা পর্যন্ত বেচাকেনা করি। আগে ৪/৫ হাজার টাকা বেচাকেনা হলেও এখন ২ থেকে ৩ হাজার টাকার বেচা বিক্রি করি।
তিনি আরও বলেন, বিকালে প্রায় ১ হাজার বিনোদন উৎসুক মানুষ হয় এখানে। ঘাটে থাকা পাথরের ব্লকে বসে সরাসরি জাহাজ ও সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেন।
কালামিয়াবাজার এলাকা থেকে ঘুরতে আসা ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান জানান, নদীর ধারে খোলামেলা জায়গা ও মনোরম পরিবেশের জন্য বিনোদন স্পট হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অভয়মিত্র ঘাটটি। তাই উৎসব ছাড়াও প্রায় সময় এখানে ঘুরতে আসা হয়। করোনার লম্বা বিরতির পর আবার ও প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারছি।
পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা বিউটি আক্তার জানান, নগরীতে হাতেগোনা কয়েকটি পার্ক ও পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত ছাড়া তেমন কোনো বিনোদনের স্থান নেই। আবার শহরের এক প্রান্তে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত। তাই বাচ্চাদের নিয়ে এখানে কিছুটা সময় কাটাই।