আন্তর্জাতিক: প্রায় ১০ মাস ধরে চলা বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শেষ পর্যন্ত সবুজ সংকেত পেল। ইইউ এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে হওয়া নতুন বাণিজ্য চুক্তিতে সই করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশ।
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি বৈঠকে ২৭টি দেশ চুক্তিতে সই করে। আপাতত ১ জানুয়ারি থেকে চুক্তিটি কার্যকরী হবে। তবে এখনো বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি। পরবর্তী ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্যের বৈঠকে চুক্তিটি লিখিত আকারে গ্রহণ করা হবে। তারপরেই তা স্থায়ী হিসেবে গণ্য হবে।
ব্রেক্সিটের পরে ইইউর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের আদৌ কোনো বাণিজ্য চুক্তি হওয়া সম্ভব কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় ছিল। এক সময় মনে হচ্ছিল, জট কাটবে না। বাণিজ্য চুক্তিও সফল হবে না। চুক্তি না হলে ইউরোপের দেশগুলি এবং যুক্তরাজ্য দুই তরফই যথেষ্ট ক্ষতির মুখে পড়ত। কিন্তু সমস্যা ছিল চুক্তির খসড়া নিয়ে। সকলেরই আলাদা আলাদা দাবি ছিল। শেষ পর্যন্ত গত সপ্তাহে চুক্তি চূড়ান্ত হয়।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, ইইউর প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা হয়েছে। নতুন চুক্তি নিয়ে আশাবাদী।
ইইউ প্রধান উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন আগেই এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। সোমবার তিনি জানিয়েছেন, এই চুক্তির ফলে ইউরোপ এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ স্থাপিত হলো। দ্রুত চুক্তিটি স্থায়ী হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিটি দেশই এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল চুক্তিটিকে ঐতিহাসিক বলে ব্যাখ্যা করেছেন। তবে ফ্রান্স জানিয়ে রেখেছে, ফরাসি জেলেদের স্বার্থ সুরক্ষিত না হলে তারা ভেটো দেবে। বস্তুত, ১০ মাস ধরে চুক্তিটি নিয়ে আলোচনায় ফরাসি মৎসজীবীদের বিষয়টি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল। যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্স এই বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ বিতর্ক করেছে।
ফ্রান্স জানিয়েছে, যুক্তরাজ্য জেলেদের মাছ ধরার বিষয়ে সমস্যা তৈরি করবে না বলে আশ্বাস দিয়েছে। আশ্বাস যথাযথ না হলে তারা চুক্তিতে ভেটো দেবে। ফরাসি মৎসজীবীরাও চুক্তিটিকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে,ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরোঁর এক পারিষদ জানান, মুখে ভেটো দেওয়ার হুমকি দিলেও চুক্তিটিকে স্বাগত জানিয়েছেন ম্যাকরোঁ।
-ডয়চে ভেলের