সিঙ্গাপুর: প্রথম ধাপে ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন নিলেন নার্স সারাহ লিম। বুধবার (৩০ ডিসেম্ব) থেকে এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু করে সিঙ্গাপুর।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৪৬ বছর বয়সী নার্স সারাহ লিম এবং ৪৩ বছর বয়সী সংক্রামক রোগের চিকিৎসক কালিসভার মারিমুথু ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনফেকশাস ডিজেজের ৩০ জনের বেশি স্টাফ বুধবার প্রথম ধাপে করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ ২০ জানুয়ারিতে গ্রহণ করবেন।
দেশটির প্রায় ৫৮ লাখ জনসংখ্যার সবাইকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করেছে সিঙ্গাপুর। তবে শুরুতেই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মী, বয়স্ক মানুষ ও করোনার ঝুঁকিতে থাকা লোকজনকে। তবে সেখানে কাউকে ভ্যাকসিন নিতে বাধ্য করা হবে না।
২১ ডিসেম্বর ফাইজারের ভ্যাকসিন হাতে পায় সিঙ্গাপুর। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের ধারাবাহিকতায় ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনা ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেয় সিঙ্গাপুর।
চিকিৎসক মারিমুথু বলেন, এর আগেও আমরা দেখেছি যে, মহামারি নির্মূল করতে পেরেছে ভ্যাকসিন। তাই আমি আশা করছি করোনা মহামারির ক্ষেত্রে এই ভ্যাকসিনও একই ধরনের কাজ করবে। ফাইজার ছাড়াও আরও বেশি কিছু ভ্যাকসিন সরবরাহে আগাম অর্থ দিয়ে চুক্তি করে রেখে সিঙ্গাপুর। এই তালিকায় রয়েছে মডার্না এবং সিনোভ্যাক।
ভ্যাকসিন যে নিরাপদ তা দেখাতে সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি হিয়েন লং (৬৮) জানিয়েছেন, তিনি এবং তার সহকর্মীরা প্রথম ধাপে করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণ করবেন। চিকিৎসা কাজে নিয়োজিত সব বাসিন্দাকে ভ্যাকসিন গ্রহণে উৎসাহী করবে সরকার।
সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে লি বলেন, ‘করোনা মহামারির বিরুদ্ধে বুধবার ভ্যাকসিন কার্যক্রম একটি নতুন অধ্যায়। কোভিড বিশ্বে বসবাসের জন্য ভ্যাকসিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই করোনা ঝড় শেষ হতে কিছুটা সময় লেগে যাবে।’
-বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক