- সভাপতি আলী আব্বাস: ১৬৫ ভোট ( নির্বাচিত )। রিয়াজ হায়দার-৭০ ভোট
- সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ ১৮০ ভোট ( নির্বাচিত)। কাজি মহসিন ৫৮ ভোট
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: না তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি, যা ছিল তা-ই। বাণিজ্যিক রাজধানীতে অবস্থিত চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব নির্বাচনে সদস্যরা ক্ষমতাসীনদের পক্ষে রায় দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর ) এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
বিপুল ভোটে জিতেছেন বর্তমান সভাপতি আলহাজ আলী আব্বাস এবং সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ উদ্দিন। জয়ী হয়েছেন বর্তমান সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজাও।
প্রাক-নির্বাচন পরিস্থিতি দেখে ফলাফল যে এমন হতে পারে তা আঁচ করা গিয়েছিল বেশ ভালভাবে। অবশ্য একটি গোষ্ঠি সক্রিয়ভাবে কাজ করেছে পরিবর্তনের পক্ষে। তাদের নানামুখী চেষ্টাও ছিল। কিন্তু তা শোচনীয় ব্যর্থ হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের সময় প্রেসক্লাব কার্যকরী সংসদ সাধারণ সদস্যদের যেভাবে সহায়তা নিয়ে এগিয়ে গিয়েছিল তার তা কড়ায় গণ্ডায় শোধ দিয়েছেন তারা। অন্তত ফলাফল দেখে তা নির্দ্বিধায় বলা যায়। তাছাড়া, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন ( সিইউজে ) নির্বাহী পর্ষদও প্রেসক্লাবে ক্ষমতাসীনদের পক্ষে একচেটিয়া কাজ করেছে।, যা অতীতে কখনও হয়নি।
আলী আব্বাস ১৬৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াজ হায়দার চৌধুরী পেয়েছেন ৭০ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে চ্যানেল আই’র ব্যুরো চিফ চৌধুরী ফরিদ উদ্দিন ১৮০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী দৈনিক সত্যবাণীর নির্বাহি সম্পাদক কাজি মহসিন পেয়েছেন ৫৮ ভোট।
সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে আবারও জিতলেন দৈনিক ইত্তেফাকের ব্যুরো প্রধান সালাহউদ্দিন মো. রেজা। ভোট পেয়েছেন ১৩৭।
সহ সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম ( ১০৫ ভোট )। যুগ্ম সম্পাদক পদে নজরুল ইসলাম ১৩৪ ভোট, অর্থ সম্পাদক পদে রাশেদ মাহমুদ ১৪৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নাসির উদ্দীন হায়দার ১১৫ ভোট, ক্রীড়া সম্পাদক পদে দেবাশীষ বড়ুয়া দেবু ১৩৯ ভোট, গ্রন্থাগার সম্পাদক পদে মিন্টু চৌধুরী ১১৮ ভোট, আপ্যায়ন সম্পাদক পদে আইয়ুব আলী ১৬০ ভোট এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে আলিউর রহমান ১৩৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
সদস্য পদে ১৪৩ ভোট পেয়ে শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার, ১৩১ ভোট পেয়ে মোয়াজ্জেমুল হক, ১৩০ ভোট পেয়ে দেবদুলাল ভৌমিক এবং ১০৫ ভোট পেয়ে মনজুর কাদের মনজু জয়লাভ করেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, এবারের নির্বাচনে এমন ব্যালটও ছিল প্রচুর যেগুলোতে সভাপতি, সিনিয়র সহ সভাপতি কাউকে ভোট দেয়া হয়নি। একই অবস্থা ছিল সাধারণ সম্পাদক পদের বেলায়ও। অন্যান্য পদের বেলায়ও তা হয়েছে। আর সদস্য পদে ৪ জনকে ভোট দেয়ার সুযোগ থাকলেও কেবল একজন বা দু’জন প্রার্থীকে দেয়া হয়েছে। ব্যালটে সব প্রার্থীর ঘরে টিক চিহ্ন দেয়া হয়েছে অর্থাৎ গোটা ব্যালট নষ্ট করা হয়েছে এমনও পাওয়া গেছে কয়েকটি।