Home চট্টগ্রাম বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখার সুযোগ নাই: তাজুল ইসলাম

বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখার সুযোগ নাই: তাজুল ইসলাম

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছেন তা বাস্তবায়ন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ধারা অব্যাহত রেখে ৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলবো। বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখার সুযোগ নাই।

শনিবার (০২ জানুয়ারি) দুপুরে নগরের রেডিসন ব্লু বে-ভিউতে চীন সরকারের অনুদান হিসেবে পাওয়া এলইডি বাল্ব বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর না থাকলে বাংলাদেশ এতো ভাগ্যবান হতো না। বাংলাদেশের উন্নয়ন করতে হলে চট্টগ্রামকে গুরুত্ব দিতে হবে। অনেক দেশ আছে যাদের বন্দর থাকলেও আমাদের দেশের মতো তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়।

তিনি বলেন, মিরসরাই ইকোনমিক জোন হবে, ৩০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে। বিলিয়ন ডলার ইনকাম করার সুযোগ আছে চট্টগ্রাম থেকে, তার জন্য আমাদের কাজ করতে হবে। আমরা পারস্পরিক যোগাযোগে তা করতে পারবো। রামপাল পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে অনেক ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে৷ এটা এখন বাস্তবায়ন হয়েছে, ভবিষ্যতে জ্বালানি সংকট থাকবে না। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্যসহ সব সেক্টরে উন্নতি হয়েছে তিনি যোগ করেন।

শেখ হাসিনার সরকার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার কারণে আমাদের সমুদ্রসীমা জয় হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সমুদ্রসীমা নিয়ে কাজ করেছে, এরপর কোনো সরকার কাজ করেনি। আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় এলে তদবির করে। আমাদের ভৌগোলিক সীমানা নিয়ে অনেক সমস্যা ছিল, ছিটমহল সমস্যা সমাধান করা হয়েছে। ভারত থেকে আমরা ১০ গুণ বেশি জায়গা পেয়েছি ছিটমহলে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে কাজ করতে হবে। সব মানুষ একসাথে ভালো কাজ করলে, ভালো চিন্তা করলে দেশ এগিয়ে যাবে।

শেষে চীন থেকে পাওয়া ১৩ লাখ এলইডি বাল্ব চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে হস্তান্তর করেন।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সচিব শাকিলা ফারজানার সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সিটি প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, স্থানীয় সরকার চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক মিজানুর রহমান।