বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
টেকনাফ: কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটকবাহি জাহাজ কর্ণফুলী এক্সপ্রেস চলাচলের কারণে জানমালের ঝুঁকি ও ক্ষতির মুখে পড়েছে উখিয়া ও টেকনাফ সমুদ্র উপকুলীয় অঞ্চলে জেলেরা।
স্থানীয় জেলেদের অভিযোগ, কর্ণফুলী এক্সপ্রেস জাহাজটি গভীর সমুদ্র দিয়ে চলাচল না করে সময় বাঁচাতে উপকুলীয় অঞ্চলের কাছাকাছি দিয়ে চলাচল করার কারণে এ অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে।
সর্বশেষ সোমবার ( ৪ জানুয়ারি) বিকাল ৫ টার দিকে উখিয়া উপজেলার জালিয়া পালং ইউনিয়নের মনখালী সমুদ্র চ্যানেলে মাছ ধরা অবস্থায় ৮ থেকে ১০টি নৌকার ২ লক্ষাধিক টাকার জাল ছিঁড়ে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে জাহাজটি।
এ সময় জেলেরা বারবার সংকেত দিলেও জাহাজ কর্তৃপক্ষ তা অমান্য করে ভাসানো জালের উপর দিয়ে চলে যায়। এতে প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকার জাল ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এসময় অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যায় মাছ ধরার দুটি নৌকা।
উখিয়ার মনখালী এলাকার আবছার কামাল কাজল বলেন, ‘সোমবার বিকাল ৫টার দিকে সেন্টমার্টিন থেকে কক্সবাজারগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস জাহাজটি সমু্দ্রে আমার ভাসানো জালের উপর দিয়ে চলে যায়। এসময় ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের জাল ছিঁড়ে ক্ষতি করে।’
মালিকানাধীন নৌকায় ৬ জন জেলে মনখালী সমুদ্র চ্যানেলে মাছ ধরতে গেলে কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের জাল ছিঁড়ে তছনছ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন করেন।
নৌকায় থাকা জেলে মনির আহমদ ও মোহাম্মদ শরীফ জানান, কর্নফুলী এক্সপ্রেস জাহাজটি আসতে দেখে লাঠিতে লাল কাপড় বেঁধে বিকল্প পথে যেতে বার বার সংকেত দিলেও জাহাজ কর্তৃপক্ষ তা মানেনি। এ কারণে বড় ধরণের ক্ষতির মুখে পড়েছেন জেলেরা।
এ ঘটনায় আরও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে স্থানীয় বহাদ্দার নুরুল হক, ফরিদ সওদাগর, আহসান উল্লাহ, রশীদ আহমদ মো. তারেক, আবুল হোসেনসহ অনেকের নৌকা।
এই ব্যাপারে কর্ণফুলী এক্সপ্রেসের কক্সবাজার সমন্বয়কারী হোছাইন মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, ‘জেলেদের ক্ষতির বিষয়টি জানা ছিল না। আমি জাহাজের ক্যপ্টেনকে নির্দেশনা দিচ্ছি। যাতে দূরত্ব বজায় রেখে জাহাজ চলাচল করে। এ বিষয়ে আমরা অবশ্যই সতর্ক থাকব।’