বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক:
করোনাভাইরাসের নতুন দুইটি ধরনের বিরুদ্ধে কাজ করতে সক্ষমতা দেখিয়েছে ফাইজার অ্যান্ড বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন। ল্যাবরেটরি পরীক্ষণে এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে।
নতুন ধরনের ভাইরাসে এক ধরনের মিউটেশন হয়েছে। তাই যখন এই গবেষণা সামনে এসেছে তখন নিশ্চিত কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে কিভাবে এই ভ্যাকসিন কাজ করবে।
গবেষকরা দুই ধরনের ভাইরাস তৈরি করেছেন। তার একটিতে মিউটেশন হয়েছে অন্যটিতে হয়নি। পরে সেগুলোতে ২০ জন রোগীর রক্তের নমুনায় ডোবানো হয় যাদের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সময় ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিলো।
সেখানে দেখা গেছে, ভ্যাকসিন নেওয়া রোগীদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা নতুন মিউটেশনকে বাইরে বের করে দিতে সক্ষম হয়।
ইউনিভার্সিটি অব কেমব্রিজের রাভি গুপ্তা বলেন, যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসের ৮টির মধ্যে মাত্র একটি মিউটেশন এখানে নির্ধারণ করা হয়েছে ।
লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিকাল মেডিসিনের প্রফেসর স্টিফেন ইভানস বলেন, এটা ভালো খবর। কিন্তু আমরা পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী নই যে, ফাইজারের ভ্যাকসিন পূর্ণ সুরক্ষা দিবে।
করোনাভাইরাসের নতুন এই দুটি ধরন যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া গেছে। দুটিই খুব দ্রুত ছড়াচ্ছে। তাতে সবার মনে প্রশ্ন- এর বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনগুলো কোন মাত্রার সুরক্ষা দিবে। এখনও মনে হচ্ছে, ভ্যাকসিনটি ঠিকঠাকমতো কাজ করবে। তবে আরও শক্ত প্রমাণের খোঁজে রয়েছেন গবেষকরা।
ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের মেডিক্যাল ব্রাঞ্চের একটি গবেষণার ক্ষেত্রে এন৫০১ওয়াই মিউটেশনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। এটাকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করা হচ্ছে কারণ এটি ভাইরাসের একটি অংশ। আমাদের শরীরের কোষের সংস্পর্শে এটাই প্রথম আসে, সহজে পরিবর্তন ঘটায় ও সংক্রমিত করে।