Home চট্টগ্রাম ওয়ার্ড ৩৩: লড়াই হবে দলীয় ও বিদ্রোহী প্রার্থীর

ওয়ার্ড ৩৩: লড়াই হবে দলীয় ও বিদ্রোহী প্রার্থীর

তাপস বড়ুয়া

চট্টগ্রাম: নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন ফিরিঙ্গিবাজার ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীরা।  জমে ওঠেছে  প্রচারণা। ওয়ার্ড, অলি-গলি পোস্টারে ছেয়ে গেছে।  

আওয়ামী লীগ মনোনীত ঘুড়ি মার্কার প্রার্থী  মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মিষ্টি কুমড়ো মার্কার প্রার্থী ও সাবেক কাউন্সিলর  হাসান মুরাদ বিপ্লব  এবং  বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ঠেলাগাড়ি মার্কায় ‍সাদেকুর রহমান রিপন। এলাকার উন্নয়ন ও শান্তির নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে নাগরিকদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করছেন কাউন্সিলর প্রার্থীরা।

ভোটারদের ধারণা:  প্রার্থী অনেক হলেও মূল লড়াইটা হবে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে।

সিটি কর্পোরেশনের মধ্যাংশে ফিরিঙ্গি বাজার ওয়ার্ডের অবস্থান। পূর্বে ৩৪নং পাথরঘাটা ওয়ার্ড, উত্তরে ৩২নং আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড, পশ্চিমে ৩১নং আলকরণ ওয়ার্ড এবং দক্ষিণে কর্ণফুলী নদী ও কর্ণফুলী উপজেলার চর পাথরঘাটা ইউনিয়ন অবস্থিত।

ফিরিঙ্গি বাজার ওয়ার্ডে যেন নাগরিক সমস্যার শেষ নেই। মাদক , জুয়ার আড্ডা, আবর্জনা,ভাঙ্গা রাস্তাঘাট সাথে প্রভাবশালী দের কর্ণফুলী নদীর পাড় দখলের অভিযোগ। এবারের নির্বাচনে ভোটারদের প্রত্যাশা দীর্ঘদিনের জমে থাকা এসব সমস্যার সমাধান মিলবে। যাঁরা জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেবেন তাঁকেই ভোট দেবেন সবাই। প্রার্থীরাও সকল নাগরিক সমস্যা সমাধানের মধ্য দিয়ে দলবাজিমুক্ত সুন্দর সমাজ গঠনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।

দেড় বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ ওয়ার্ডে জনসংখ্যা প্রায় এক লাখ ২০ হাজার। ভোটার: ১৯৭০৭ জন । তাদের মধ্যে পুরুষ: ১০০৪২ জন এবং মহিলা: ৯৬৬৫ জন।

কবি নজরুল ইসলাম রোডের বাসিন্দা আক্তার উদ্দিন বলেন,পর্যাপ্ত ডাস্টবিন না থাকার কারণে উপচে পড়ে আবর্জনা। দুর্গন্ধে হাঁটাও দায় হয়ে পড়ে। প্রতিবার ভোট আসলে প্রার্থীরা নানা প্রতিশ্রুতি দেন। ভোটের পর সব ভুলে যান।

ফিরিঙ্গি বাজার জেলে পল্লীর বাসিন্দা সুনিল কান্তি জলদাস বলেন, এখানে পরিবারগুলো অস্বাস্থ্যকর ও দুর্গন্ধময় পরিবেশে জীবন যাপন করছে। স্যাঁত স্যাঁতে পরিবেশে আমাদের বসবাস। বাড়িঘরের চার পাশে পঁচা আবর্জনা মিশে তৈরি হয়েছে দুর্গন্ধময় পরিবেশ। জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায় এলাকা।
টানা ৫বছর ওয়ার্ডের বিভিন্ন উন্নয়নের কথা বলতে গিয়ে, সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হাসান মুরাদ বিপ্লব বলেন,আমি দায়িত্ব নেয়ার আগে ওয়ার্ড বিভিন্ন সমস্যার জর্জরিত ছিল। নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব নেওয়ার পর রাস্তাঘাটসহ অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষা বিস্তার ও মাদক নির্মূলের কাজ করেছি। এলাকাবাসী পাশে থাকলে আমি আবার নির্বাচিত হয়ে, এলাকার নানাবিধ উন্নয়নসহ  নালা সম্প্রসারণ ও স্যুয়ারেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন করব এবং প্রতিটি ঘরে ঘরে সুপেয় পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করব।

আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, আমার এলাকায় বিশেষ করে নয়াপাড়া, সেবক কলোনীতে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়। আমি নির্বাচিত হলে এই সমস্যার সমাধানসহ ওয়ার্ড বাসীর দোয়া, ভালোবাসা ও সমর্থনে সব ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে ওয়ার্ডকে চাঁদাবাজি, মাদক-সন্ত্রাস মুক্ত করব। রাস্তাঘাট ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কার, জলাবদ্ধতা নিরসন করে পরিচ্ছন্ন আধুনিক ওয়ার্ড গঠনে কাজ করব।