Home নির্বাচন যত দিন বেঁচে থাকি সাহস করে বলে যাব: কাদের মির্জা

যত দিন বেঁচে থাকি সাহস করে বলে যাব: কাদের মির্জা

নোয়াখালী: যত দিন বেঁচে থাকবেন, তত দিন সত্য কথা বলবেন জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ বসুরহাটে দলটির মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, ‘ওবায়দুল কাদের আমার সঙ্গে নেই। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগও নেই। নোয়াখালী ও ফেনী আওয়ামী লীগ আমার বিরুদ্ধে অস্ত্রশস্ত্র পাঠিয়েছে। জনগণ থাকলেই আমি ভোট করব।’

গতকাল রবিবার সকালে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনী পথসভায় আবদুল কাদের মির্জা এসব কথা বলেন।

আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে আমি পাগল। ৪৭ বছরে আওয়ামী লীগ ছাড়া কিছু কি করেছি? দায়িত্বশীলতার ঘাটতির কথা বলেন। মাহবুব উল আলম হানিফ, আপনার কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল যে ভেঙেছে, কী দায়িত্ব পালন করেছেন?’

রুহিন হোসেন প্রিন্সকে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটির নুরা পাগলার সঙ্গে আপনারা মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরোধিতা করেছেন, আহারে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি, আহারে বাম দল! আপনারা হলেন সাইনবোর্ডসর্বস্ব দল। সারা দেশ খুঁজলে আমার পথসভার এতজনও তাদের পাওয়া পাবে না।’

তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি, সত্য কথা বলব। যত দিন বেঁচে থাকি সাহস করে বলে যাব। অন্যায়-অবিচার ও অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলব। এ নির্বাচনকে আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে নিয়েছি। বিভিন্ন স্থানে আমার পোস্টার ছেঁড়া হয়েছে। এটা জামায়াত-বিএনপির কেউ করেনি। করেছে নোয়াখালী-ফেনী থেকে আন্ডুগান্ডুদের আমার বিরুদ্ধে অস্ত্র দিয়ে লাগিয়ে দেওয়ারা। পোস্টার ছিঁড়েছে আমার কর্মীদের গরম করার জন্য, অঘটন ঘটাতে। কিন্তু আপনারা উত্তেজিত হবেন না। পোস্টারের দরকার নেই, আমার নামটা ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত হৃদয়ে লেখেন, তারপর দরকার নেই। আজীবন কারও নাম হৃদয়ে রাখতে হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম রাখবেন, তিনি আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুকে আমরা ভুলে গেলে অকৃতজ্ঞ জাতি হিসেবে বিশে্বর দরবারে আমরা পরিচিত হব।’

বড় ভাই ওবায়দুল কাদেরের বিষয়ে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘আমি অসুস্থ, মরে যাব, তিনি (ওবায়দুল কাদের) এটা বললে আমি দুর্বল হয়ে যাই। ঢাকায় ভর্তি হতে গেছি, বলেন চট্টগ্রামে ভর্তি হও। ঢাকায় রাজনীতি করলে আবার সেখানে কোনো বড় নেতা হয়ে যাই কি না! সত্যি বলছি, উনিই তো আমাকে এগোতে দেননি।’

তাকে নিয়ে কেন্দ্রীয় কয়েক নেতার সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, ‘কাল যুব মহিলা লীগের একজন অকথ্য ভাষায় গালাগাল করল। প্রশাসনকে জানিয়েছি, মোবাইল ট্র্যাকিং করে সব তথ্য পেয়েও ব্যবস্থা নেয়নি। এই মহিলার হাতটা অনেক শক্তিশালী। না হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কেন?’

-বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক