নাজমুল হোসেন
চট্টগ্রাম: আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে অবস্থিত অত্যাধুনিক কমিউনিটি সেন্টার “সিটি হল কনভেনশন সেন্টার”। করোনা কালীন সীকম গ্রুপ মানুষের সেবাদানের জন্য নিজেদের ব্যবসা বন্ধ রেখে আইসোলেশন সেন্টার করে।পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক পর্যায়ে আসলে গত ২০ ডিসেম্বর নতুন উদ্যমে নতুন সাঁজে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু এরপর থেকে এখন পর্যন্ত একটি প্রোগ্রামেরও বুকিং পায়নি ক্লাবটি।খালি পড়ে আছে। অলস সময় পার করছেন ক্লাবটির কর্মীরা।
আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে ব্যবহারে ক্লাবটি ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে।২২টি সিসিটিভি ক্যামেরার ক্যাবল নষ্ট নয়ে যায়।বাথরুমের কল, হ্যান্ড ওয়াশ; ট্যাপ, বিভিন্ন দেওয়ালে ড্রিল করার কারণে টাইলস নষ্ট হয়ে যায়।স্টোর রুমে থাকা প্রায় ৭ লাখ টাকার ডেকোরেশনের কাপড় নষ্ট হয়েছে। আইসোলেশন সেন্টারের ৩ মাসে ১০ লাখ টাকারও বেশি বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হয়েছে ক্লাবটির।
চট্টগ্রামের প্রাণকেন্দ্র আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের ছোটপুল এলাকায় ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে ৪২ হাজার বর্গফুটের বিশ্বমানের সিটি হল কনভেনশন সেন্টারটি যাত্রা শুরু করে।চালুর পর দ্রুত জনপ্রিয়তা পায় এই ক্লাবটি। ১২ হাজার অতিথির ধারণ ক্ষমতার এই কনভেনশন সেন্টারটিতে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবান, বিয়ে, আকদ, বৌভাত, ওয়ালিমা, গায়েহলুদ, কনভেনশন, কনফারেন্স, টেলি-কনফারেন্স, ব্যবসায়িক সভা, এজিএম, ট্রেনিং, প্রমোশন ও মেলাসহ সবধরনের অনুষ্ঠান করার সুবিধা রয়েছে এখানে।
সিটি হল কনভেনশন সেন্টারের কো-অর্ডিনেটর মাসুদ হাসান জানান, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে গতবছরের এপ্রিলে বৈশ্বিক মহামারি করোনা মোকাবেলায় সিটি করপোরেশনকে আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে ব্যবহারের জন্য এই ক্লাবটি দিয়েছিল সীকম গ্রুপ। কিন্তু সিটি করপোরেশন ক্লাবটি দেরীতে হস্তান্তর করায় আমরা একটা প্রোগ্রামও নিতে পারিনি। করপোরেশন সেপ্টেম্বরেও জানাতো ডিসেম্বরে ক্লাব বুঝিয়ে দিবে তাহলে আমরা অনেক প্রোগ্রাম কনফার্ম করতে পারতাম। বেশির ভাগ মানুষতো বিয়ের ২মাস থেকে ৩ মাস আগেই বুকিং করে।
তিনি জানান, যেখানে গত বছর জানুয়ারিতে ১৮ থেকে ২০ টা প্রোগ্রাম করেছিলাম, সেখানে বর্তমানে কোনো বুকিং নেই। এই ক্লাবের যাত্রা শুরুতে আমরা রাস্তার কারণে অনেক ক্ষতির মুখে পড়ি। আইসোলেশনের কারণে আরও পিছিয়ে পড়েছি। বর্তমানে অবশ্য বিশেষ ছাড় দেয়া হচ্ছে বুকিংয়ে।
আরও জানান, অন্যান্য ক্লাব অক্টোবর নভেম্বর মাসে প্রোগ্রাম শুরু করলেও আমরা এখনও একটা প্রোগ্রামও করতে পারিনি। আমাদের এখানে ১৬ জন পার্মানেন্ট স্টাফ আছে। সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিত করোনাপ্রতিরোধী সব সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেই সামাজিক ও করপোরেট অনুষ্ঠানের জন্য কনভেনশন সেন্টারটি খোলা হয়েছে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর। ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসে এখন পর্যন্ত একটা প্রোগ্রামও পাইনি। ফেব্রুয়ারীতে ১০টার মতো বুকিং আসে। আশা করি সামনে আরও কিছু প্রোগ্রাম বুকিং পাবো।